অর্ণব দাস: সরস্বতী পুজোয় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বাংলা ভাষায় হাতেখড়ি নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। তারই মাঝে এবার বাংলাকে চিনতে ‘একতা যাত্রা’র সূচনা করলেন রাজ্যপাল। রবিবার সস্ত্রীক দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। এরপর সাংবাদিকদের সামনে ‘একতা যাত্রা’র কথা ঘোষণা করেন তিনি।
প্রতিদিনই প্রায় কয়েক হাজার পুণ্যার্থী দক্ষিণেশ্বরে পুজো দেন। তাই আঁটসাঁট নিরাপত্তার চাদরে মোড়াই থাকে মন্দির। তবে রবিবার সস্ত্রীক রাজ্যপাল আসায় নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছিল। এদিন পুজো দিয়ে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাজ্যপাল বলেন, “বাংলার অন্যতম তীর্থক্ষেত্র দক্ষিণেশ্বর এবং ঠাকুর রামকৃষ্ণের স্মৃতিবিজড়িত তাই এই মন্দিরে মায়ের কাছে পুজো দিতে এসেছি।” বাংলার সংস্কৃতির ভূয়সী প্রশংসাও করেন। বাংলাকে ‘সেকেন্ড হোম’ বলেও উল্লেখ করেন রাজ্যপাল। বাংলাকে চিনতে ‘একতা যাত্রা’ করবেন বলেও ঘোষণা করেন সিভি আনন্দ বোস। দক্ষিণেশ্বর দিয়ে সূচনা হল ‘একতা যাত্রা’র।
[আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তলের ডানা ছাঁটবে তৃণমূল? সায়নী ঘোষের মন্তব্যে জল্পনা]
যদিও সরস্বতী পুজোর রাতে দিল্লি সফরের প্রসঙ্গে কোনও জবাব দিতে চাননি রাজ্যপাল। ভবতারিণী মন্দিরে পুজো দিয়ে রাজ্যপাল অভিভূত বলেই জানান দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের কুশল চৌধুরী। তিনি বলেন, “রাজ্যপাল একতা যাত্রার কথা ঘোষণা করেছেন। গঙ্গা দিয়ে তিনি যাত্রা করবেন। গঙ্গার দু’পাশের জনপদগুলির মানুষের সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত হবেন।”
উল্লেখ্য, সরস্বতী পুজোর দিন আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা ভাষায় হাতেখড়ি হয় রাজ্যপালের। ছোট্ট গুরুর হাতে হাতেখড়ির সময় রাজভবনে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে যখন রাজ্যে জোর শোরগোল তখন মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে হাতেখড়িকে সমর্থন করেনি বিজেপি। পদ্মশিবিরের বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায় ছাড়া অনুষ্ঠানে যোগ দেননি রাজ্য বিজেপির কেউই। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও ছিলেন না হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে। এই টানাপোড়েনের মাঝে সরস্বতী পুজোর রাতে দিল্লি সফরে যান রাজ্যপাল। উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করার কথা ছিল তাঁর। যদিও রাজ্যপালের দিল্লি সফরের সঙ্গে হাতেখড়ি বিতর্কের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি তৃণমূল, বিজেপি উভয়েরই। এবার রাজ্যপালের ‘একতা যাত্রা’ নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া দেয় রাজনৈতিক মহল, সেটাই এখন দেখার।