সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যেই রাজ্যে বেজে গেল পঞ্চায়েত ভোটের দামামা। ঠিক একমাস পর, আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election)। ফলপ্রকাশ ১১ জুলাই। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের পাশাপাশি এবার ২২ বছর পর পাহাড়েও হবে দ্বিস্তর পঞ্চায়েত ভোট। কিন্তু ভোটে সুরক্ষার দায়িত্ব কার? রাজ্য পুলিশ নাকি কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)? এ নিয়ে ইতিমধ্যেই চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে শাসক-বিরোধী শিবিরে। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা রাখার বার্তা দিয়েছেন। তবে বিরোধীদের দাবি, শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে হলে কেন্দ্রীয় বাহিনীই দরকার।
বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন দপ্তরের সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার সময় সাংবাদিকরা নিরাপত্তা নিয়ে রাজীব সিনহাকে প্রশ্ন করেন। তাতে তিনি জানান, এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সমস্ত দলের মতামত শোনা হবে। তবে রাজ্য সরকার ও কমিশন শান্তিপূর্ণ ভোট করানোর জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলেই ভোটের দিন ঘোষণা করা হল। পাশাপাশি তিনি রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) উপর আস্থা রেখেই ভালভাবে ভোট হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন।
[আরও পড়ুন: ৮ জুলাই একদফায় রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট, দিনক্ষণ জানালেন নির্বাচন কমিশনার]
সর্বদল বৈঠক ছাড়া এদিন পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা হওয়ায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এনিয়ে তাঁর টুইট, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের মৃত্যু হল। সর্বদল বৈঠক নেই, নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আলোচনা নেই, অথচ দিন ঘোষণা হয়ে গেল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার তৃণমূলের আঞ্চলিক শাখার মতো আচরণ করছে। দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) অবশ্য ভোটের দিন ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ”যত তাড়াতাড়ি ভোট হয়, ততই ভাল। নাহলে উন্নয়নের কাজ আটকে যাবে।” তবে সর্বদল বৈঠক ছাড়া এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন তিনি।
এদিকে, ভোট ঘোষণার নিয়ে কমিশনারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সিপিএম (CPM) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ভিডিও বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, ”এই তৎপরতা প্রশংসাযোগ্য। তবে নির্বাচন কমিশনকেই সুরক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে। শুধু ভোটের দিন বা ফলপ্রকাশের দিন নয়। আজ থেকে একেবারে ১১ জুলাই পর্যন্ত প্রত্যেক দিন প্রত্যেক প্রার্থী, নিরাপত্তা রক্ষী, সাধারণ ভোটার সকলের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হবে কমিশনারকে।”
[আরও পড়ুন: হিরে মজুরের কানাকড়ি নেই! ২ সন্তান, স্ত্রীকে নিয়ে বিষ খেয়ে মৃত্যু গুজরাটে]
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) বক্তব্য, ”আমরা সকলে পঞ্চায়েত ভোট করাতে প্রস্তুত। বিরোধীরা অনেকে দাবি তুলছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী, লোকসভা বা বিধানসভা ভোট যেহেতু জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে হয়, তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো নিয়ে তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোট হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নজরদারিতে। সুরক্ষার দায়িত্ব থাকে রাজ্য পুলিশের। এবারও রাজ্য পুলিশই নিরাপত্তা দেবে।”