সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লক্ষ্য ২০২৪। আর সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই সর্বভারতীয় স্তরে এবার ২১ জুলাই পালন করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম ‘শহিদ দিবসে’ বক্তব্য রাখবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার আগে টুইট করে প্রত্যেককে ভারচুয়াল সভায় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালেন তিনি।
করোনা আবহে এবার ২১ জুলাই অনুষ্ঠান হবে ভারচুয়ালি। তবে এবারই প্রথম সর্বভারতীয় স্তরে বার্তা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য শোনা যাবে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, কেরল, অসম, ত্রিপুরা-সহ একাধিক রাজ্যে। বিপুল ভোটে জিতে তৃতীয়বার বাংলার মসনদে বসার পর থেকেই জাতীয় স্তরেও বারবার উঠে আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। বিজেপিকে রুখতে বৃহত্তর জোট সমীকরণও মাথাচাড়া দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেত্রীর সর্বভারতীয় স্তরে ২১ জুলাই পালন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: লাফিয়ে বাড়ল দেশের দৈনিক Corona সংক্রমণ, একদিনে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেল ১০ গুণ!]
বুধবার টুইটারে দলনেত্রী লেখেন, “১৯৯৩ সালের এই দিনে যে ১৩জন শহিদ হয়েছিলেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। আজ দুপুর ২টোয় আমার ভাই-বোনেদের ভারচুয়াল সভায় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। যারা অমানবিক অত্যাচার চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠবে তৃণমূল।”
টুইট করে ‘শহিদ’দের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। লিখেছেন, “১৯৯৩ সালের সেই যন্ত্রণাদায়ক স্মৃতি এখনও টাটকা। ১৩ জন কর্মী তত্কালীন সরকারের অমানবিক নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছিলেন। যা কখনও ভোলার নয়।” এদিকে আজ লখনউ যাচ্ছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। টুইটে তিনি জানান, সেখান থেকেই শহিদ দিবসের কর্মসূচিতে যোগ দেবেন।
[আরও পড়ুন: ২১ জুলাইয়ের আগের রাতেই হাবড়ায় চলল গুলি, অল্পের জন্য প্রাণরক্ষা TMC নেতার]
একুশে জুলাইয়ের জন্য প্রস্তুত গোটা বাংলা। ভারচুয়াল সভা হলেও ধর্মতলা চত্বরে এদিন সাতসকালে পৌঁছে গিয়েছে তৃণমূল সমর্থকরা। শহিদ দিবসে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় আবার গঙ্গার ঘাটে শহিদদের উদ্দেশে তর্পণ করলেন শাসকদলের নেতা-কর্মীরা। বলরাম সরকার ঘাটে ভাটপাড়া টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে আয়োজিত হয়েছিল তর্পণ।