shono
Advertisement
Kolkata

স্কুল থেকে ফেরার পথে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি! কলকাতা পুলিশের তৎপরতায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার যুবক

ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Published By: Suhrid DasPosted: 10:53 AM Feb 19, 2025Updated: 10:59 AM Feb 19, 2025

অর্ণব আইচ: কলকাতার অভিজাত এলাকায় নাবালিকা ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনা! শেক্সপিয়র সরণি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ওই ছাত্রীর পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই যুবককে চিহ্নিত করে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি সোমবার বিকেলের। আক্রান্ত নাবালিকা ওই এলাকারই একটি স্কুলের ছাত্রী। সোমবার স্কুল ছুটির পর সে বাড়ি ফিরছিল। তখনই ওই ছাত্রী অভিযুক্ত যুবকের ‘টার্গেট’ হয়। একা থাকার কারণে নাবালিকার পথ আটকান ওই যুবক। রাস্তার উপরই নাবালিকার সঙ্গে অভব‌্য আচরণ শুরু করেন। ওই আচরণে প্রথমে নাবালিকা হতবাক হয়ে যায়। তারপরই সে এলাকা থেকে ছুটে পালানোর চেষ্টা করে।

নাছোড়বান্দা ওই যুবক নাবালিকাকে তাড়া করেন। ফের তাকে ধরে ফেলে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় আতঙ্কিত, ভীত হয়ে যায় ছাত্রী। সেসময় পথচলতি কয়েকজন ওই ঘটনা দেখে সন্দেহের বশে এগিয়ে যান। যুবককে ধরার চেষ্টাও হয়। বেগতিক দেখে ওই এলাকা থেকে ছুটে পালান অভিযুক্ত। ফেরার পরেও ওই ছাত্রী আতঙ্কিত হয়ে থাকে। বাড়িতে কান্নাকাটি করতে থাকে। পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হওয়ায় আতঙ্কিত থাকার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। তখনই অভিভাবকদের সব কথা জানায় সে।

সোমবার রাতেই অভিভাবকরা শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। কিছু সময়ের মধ্যেই ওই যুবককে চিহ্নিত করা হয়। পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত যুবক ওই এলাকাতেই মেকানিকের কাজ করেন। ঘটনার পর থেকেই পুলিশের ভয়ে তিনি পালিয়ে বেড়ালেও শেষরক্ষা হয়নি। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ। আজ ধৃতকে আদালতে তোলা হয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • কলকাতার অভিজাত এলাকায় নাবালিকা ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনা!
  • শেক্সপিয়র সরণি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ওই ছাত্রীর পরিবার।
  • অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে।
Advertisement