স্টাফ রিপোর্টার: সম্ভবত স্নায়ুর সমস্যা ছিল। মাঝেমধ্যে মাথা ঘুরত। তাই বাবা-মায়ের সঙ্গে এমআরআই করাতে এসেছিলেন ২০ বছরের এক তরুণী। কিন্তু পরীক্ষা করতে গিয়েই মৃত্যু ঘটল তাঁর। আর বাড়ি ফেরা হল না। শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ এই ঘটনা ‘ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সেস, কলকাতা’ (আইএনকে)-র অ্যানেক্স বিল্ডিং অর্থাৎ বেকবাগান এলাকার আউটডোরে। ঘটনার আকস্মিকতায় বিস্মিত, শোকগ্রস্ত হাসপাতালের কর্মী থেকে চিকিৎসক।
হাসপাতালের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন পরিজনরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, পরীক্ষার সময় তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়লেও, কোনও চিকিৎসক তাঁকে দেখেননি। টেকনিশিয়ানরাই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কর্তব্যরত চিকিৎসক যথেষ্ট চেষ্টা করেছিলেন। দুপুরে নিউরোলজিস্টকে দেখাতে এসেছিলেন লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের পদার্থবিদ্যার দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী শ্রীপর্ণা দত্ত। আসানসোলের বাসিন্দা। কিন্তু লেখাপড়ার সুবিধার জন্য কলকাতায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন ওই তরুণীর বাবা-মা ও দিদি।
[আরও পড়ুন: ছ’মাস ধরে যান না স্কুলে, অবশেষে জীবনকৃষ্ণ সাহার বেতন বন্ধ করল কর্তৃপক্ষ]
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে বেকবাগানে আইএনকে-র বহির্বিভাগে আসার পরে শ্রীপর্ণাকে মস্তিষ্কের এমআরআই এবং ঘাড় ও মস্তিষ্কের এমআর-অ্যাঞ্জিওগ্রাম করতে দেন চিকিৎসক। এমআরআই করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শ্রীপর্ণাকে। কিছুক্ষণ পরে জানানো হয়, অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ওই তরুণী। তড়িঘড়ি তাঁরাও ভিতরে ঢুকে দেখেন প্রায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে শ্রীপর্ণা।
তবে আইএনকে’র তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দাবি করা হয়, এমআরআই হয়ে যাওয়ার পরে বমিভাব অনুভব করেন তরুণী। যন্ত্র থেকে নামিয়ে চেয়ারে বসানো হলেও প্রস্রাব করে ফেলেন। খিঁচুনিও হয়। সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারান ওই তরুণী। হাসপাতালের অতিরিক্ত সিইও জয়িতা বসু জানিয়েছেন, এমন অবস্থা দেখেই ‘কোড-ব্লু’ (অর্থাৎ কোনও প্রাপ্তবয়স্ক রোগীর কার্ডিয়াক ও রেসপিরেটরি অ্যারেস্ট হলে তৎক্ষণাৎ সেই বিষয়ে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করা) ঘোষণা করা হয়। তড়িঘড়ি চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, মেয়ের এমন অবস্থায়ও কোনও চিকিৎসককে আসতে দেখা যায়নি।