রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বাম ছাত্র-যুব আন্দোলনের ইতিহাস এবার স্থান পেতে চলেছে সংগ্রহশালায়। প্রয়াত অনিল বিশ্বাস, সুভাষ চক্রবর্তীদের ব্যবহৃত সামগ্রী এবার ঠাঁই পাবে বাম ছাত্রদের সংগ্রহশালায়। নতুন সাজে সেজে উঠছে দেশের বাম ছাত্র-যুব আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত দীনেশ মজুমদার ভবন।
সেন্ট্রাল কলকাতার মৌলালির কাছে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোডের উপর এই ভবন মানেই বাম ছাত্র-যুব আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। বাম রাজনীতির অলিন্দে দীনেশ মজুমদার ভবন পরিচিত সিপিএমের (CPM) ছাত্র ও যুব সংগঠন যথাক্রমে এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআইয়ের অফিস হিসেবেই। ছাত্র-যুব টিমের উপরই নতুন ভবন সাজিয়ে তোলার দায়িত্ব দিয়েছে আলিমুদ্দিন। এই ভবনের সুবিশাল ইতিহাসকে ধরে রাখতে একটি সংগ্রহশালাও তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানালেন, এসএফআইয়ের (SFI) রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। সৃজনের বক্তব্য, “বাংলা শুধু নয়, গোটা দেশের বাম আন্দোলনের ইতিহাসে একটা নাম দীনেশ মজুমদার ভবন। সংস্কারের মাধ্যমে এই ভবনের ইতিহাসকে ধরে রাখার চেষ্টা করা হবে।”
[আরও পড়ুন: বিতর্কের মাঝেই দ্রৌপদী মুর্মুকে মা কালীর ছবি উপহার বঙ্গ বিজেপির, পালটা দিলেন কুণাল]
সংগ্রহশালায় কী কী থাকবে? ছাত্র আন্দোলনের পুরনো বিভিন্ন ছবি, ঐতিহাসিক ডকুমেন্ট তো বটেই বাম ছাত্র-যুব আন্দোলনের বিভিন্ন সময়ে যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন, যাঁরা এখন আর জীবিত নেই তাঁদের ব্যবহার করা জিনিসপত্রও রাখা হবে সংগ্রহশালায়। প্রয়াত সিপিএম নেতা অনিল বিশ্বাস, সুভাষ চক্রবর্তী, শ্যামল চক্রবর্তীদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র, কারও চশমা, কারও বা পেন স্থান পাবে এই সংগ্রশালায়। আবার এসএফআইয়ের যখন জন্ম হচ্ছে সেই সময়ের বিভিন্ন ছবি, লেখাও থাকবে সেখানে। ছাত্র ও যুব আন্দোলনে উঠে আসা নতুন প্রজন্মের কর্মীদের কাছে পুরনো ইতিহাস তুলে ধরতেই দীনেশ মজুমদার ভবনে এই সংগ্রহশালা গড়ে তোলার উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে। আর এই উদ্যোগকে বাস্তবায়িত করে তুলতেই দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে পড়ে থাকা দীনেশ মজুমদার ভবনের দেওয়ালে, দরজায় পড়ছে নতুন রঙের প্রলেপ। হালকা গোলাপি রঙে সেজে উঠছে গোটা বাড়ি। শরীরে বয়সের ছাপ ধরা বাম ছাত্র-যুব আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত দীনেশ মজুমদার ভবনে যেন তারুণ্যের ছোঁয়া।
সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের (DYFI) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও বিমান বসুদের প্রাণের অফিস এই দীনেশ মজুমদার ভবন। বর্তমানে এসএফআই ও ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য দপ্তর হিসেবে এখানে ছাত্র-যুব সংগঠনের সমস্ত কাজকর্ম হয়। দীনেশ মজুমদার ভবনেই সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকও করে থাকে সিপিএমের ছাত্র-যুবর শীর্ষ নেতৃত্ব।