shono
Advertisement

‘ক্ষমা করো’, সুইসাইড নোট লিখে ‘আত্মঘাতী’চিত্তরঞ্জন ক্যানসার ইনস্টিটিউটের নার্স

প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা বলে অনুমান।
Posted: 03:09 PM Sep 17, 2021Updated: 03:58 PM Sep 17, 2021

অভিরূপ দাস: রাজারহাটের চিত্তরঞ্জন ক্যানসার ইনস্টিটিউট (Chittaranjan Cancer Institute Rajarhat) থেকে উদ্ধার সিস্টারের ঝুলন্ত দেহ। সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে। “মা-বাবা ক্ষমা করো”, সুইসাইড নোটে উল্লেখ রয়েছে সেকথা। কী কারণে ক্ষমা চেয়ে আত্মঘাতী হলেন ওই তরুণী, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। বানতলা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।

Advertisement

বছর আঠাশের ওই তরুণী দিল্লির বাসিন্দা। চিত্তরঞ্জন ক্যানসার ইনস্টিটিউটের হস্টেলে থাকতেন তিনি। শুক্রবার সকালে তরুণী সিস্টারের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁর। তাঁকে ডাকাডাকি করতে শুরু করেন অন্যান্যরা। তবে কোনও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় বানতলা থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দরজা ভেঙে হস্টেলে ঢোকেন পুলিশকর্মীরা। তাঁরা দেখেন গলায় ওড়নার ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছেন ওই তরুণী সিস্টার। তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। 

[আরও পড়ুন: বিশ্বসেরা আর জি কর হাসপাতাল, পয়জন ইনফরমেশন সেন্টারকে স্বীকৃতি দিল WHO]

হস্টেলের ওই ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট (Suicide Note) উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সুইসাইড নোটে লেখা ছিল, “বাবা-মা আমাকে ক্ষমা করো।” জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে কারও সঙ্গে বিশেষ কথাবার্তা বলছিলেন না ওই হাসপাতালের সিস্টার। কোনও এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কও ছিল তাঁর। তার সঙ্গে কোনও অশান্তির জেরেই তরুণী আত্মঘাতী হয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

প্রাথমিকভাবে পুলিশেরও অনুমান, তরুণী সিস্টার আত্মঘাতী হয়েছেন। তরুণীর ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় তদন্তকারীরা। তাঁর সুইসাইড নোটের বয়ানও ভাবাচ্ছে সকলকে। কী কারণে বাবা-মায়ের কাছ থেকে ক্ষমা চাইলেন তিনি, তা খোঁজখবর নিয়ে দেখা হচ্ছে। আত্মহত্যার কারণে ক্ষমা চাইলেন নাকি তার নেপথ্যেও রয়েছে অন্য কোনও কারণ, তা জানতে মৃতার পরিজনদের সঙ্গে কথা বলছেন পুলিশকর্মীরা। 

[আরও পড়ুন: রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছেড়েই নতুন দায়িত্ব, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হলেন অর্পিতা ঘোষ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement