সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতার বুক থেকে একে একে হারিয়ে যাচ্ছে সিঙ্গল থিয়েটার। বন্ধ হচ্ছে একের পর এক জনপ্রিয় সিনেমা হল। একে একে হারিয়ে যাচ্ছে বাংলা সিনেমার সুবর্ণ দিনগুলো। লম্বা লাইন। টিকিট কাউন্টার। বড় পোস্টারে উত্তম-সুচিত্রা। ফুল দিয়ে সেজে উঠেছে গোটা প্রেক্ষাগৃহ। ষাটের দশকে ঠিক এই ভাবেই গড়িয়া, টালিগঞ্জ পেল প্রথম সিঙ্গল স্ক্রিন থিয়েটার ‘পদ্মশ্রী’ (Padmashree Cinema Hall)। উত্তম-সুচিত্রার (Uttam Kumar- Suchitra Sen) ‘চাওয়া পাওয়া’ সিনেমা দিয়েই শুরু হল এই প্রেক্ষাগৃহের পথ চলা। অনেক উজ্জ্বল দিনের সাক্ষী এই সিনেমা হল। সেই উজ্জ্বল দিন আজ ফিকে। আর পদ্মশ্রী জুড়ে শুধুই অন্ধকার। থেমে গেল পথ চলা। ‘পদ্মশ্রী’ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন হলের মালিক।
১৯৫৮ থেকে ১৯৫৯ সালে প্রযোজক-ডিস্ট্রিবিউটর নারায়ণ সাধুখাঁ এই হলটি তৈরি করেন দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়া এলাকায়। নাম রাখা হয় ‘পদ্মশ্রী’। উদ্বোধন হয় ১৯৬০ সালে। প্রায় ৭২০টি আসন সংখ্যা নিয়ে তৈরি হয়েছিল এই সিনেমা হলটি। উত্তম- সুচিত্রা জুটির ‘চাওয়া পাওয়া’ দেখানো হয়েছিল প্রথম দিনই। সেই সময় গড়িয়া, যাদবপুর , টালিগঞ্জ এলাকার প্রথম সিনেমা হল ছিল ‘পদ্মশ্রী’। তারপর একে একে বান্টি, মধুবন, মহুয়া, মালঞ্চের মতো হলগুলি চালু হয় এই এলাকায়।
[আরও পড়ুন: কে বলবে বয়স ৫৫? Dabboo Ratnani’র ক্যালেন্ডারে চমকে দিলেন Shah Rukh Khan]
একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এক দর্শক জানান, এই সিনেমা হলের সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে। চোখের উপর টিকিটের দাম ৫০ পয়সা থেকে ১৪০ টাকা হতে দেখলাম। ‘সন্ন্যাসী রাজা’, ‘গণদেবতা’, ‘জয় জয়ন্তী’র মতো সিনেমা দেখেছি এই সিনেমা হলে। বিক্রির খবর শুনে সত্যিই খারাপ লাগছে।
পদ্মশ্রীর মালিকদের মধ্যে অন্যতম শ্যামল দে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে বন্ধ এই সিনেমা হল। এমনিতেই মাল্টিপ্লেক্সের যুগে সিঙ্গল স্ক্রিন চালানোটা কঠিন হয়ে পড়েছিল। করোনা আবহে আরও অসম্ভব হয়ে পড়ল। তবে যিনি এই হলটি কেনার সিদ্ধান্ত নেবেন, তিনিই ঠিক করবেন এটি সিনেমা হল থাকবে কি, থাকবে না।
এর আগে কলকাতা শহরের বুকে বন্ধ হয়েছে মিত্রা, এলিট, মালঞ্চ, রক্সি-র মতো জনপ্রিয় সিনেমা হল।