নব্যেন্দু হাজরা: বঙ্গোপসাগরে জলীয় বাষ্প প্রবেশ গত কয়েকদিনে ঊর্ধ্বমুখী ছিল তাপমাত্রার পারদ। নভেম্বরের শেষ ও ডিসেম্বরের একদম শুরুতেও টের পাওয়া যাচ্ছিল না যে শীতের মরশুম এসে গিয়েছে। সোয়েটারের প্রয়োজনও পরছিল না বিশেষ। তবে রবিবার সকালে শহর থেকে জেলা সর্বত্র শীতের আমেজ। তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ১৫ ডিগ্রির ঘরে। কুয়াশায় মুড়েছে পথঘাট। তবে বেলা বাড়তেই পরিষ্কার হয়েছে আকাশ।
রবিবার ভোর থেকেই কলকাতা, সংলগ্ন জেলা-সহ গোটা রাজ্যেই শীতের আমেজ। সকালে রাস্তায় বেরিয়ে অনুভূত হচ্ছে শীত। কুয়াশায় মুড়েছে পথ-ঘাট, রেললাইন। যার জেরে জেলার দিকে খানিকটা ধীর গতিতে চলেছে ট্রেন। আবহাওয়া দপ্তরের (Regional Meteorological Centre Kolkata) খবর, রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকালই তাপমাত্রা ছিল ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েকটি জেলার জেলার তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ১৩ ডিগ্রির আশেপাশে। কারণ, অবশেষে বাধাহীনভাবে ফের প্রবেশ করছে উত্তুরে হাওয়া। ডিসেম্বেরের দ্বিতীয় সপ্তাহে শীত আরও বাড়বে বলেই হাওয়া অফিস সূত্রে খবর। তবে বেলার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে তাপমাত্রার পারদও। ভোরে সোয়েটার, চাদরের দরকার পড়লেও বেলার দিকে অনুভূত হবে গরম।
[আরও পড়ুন: বিকল্প চিকিৎসায় আরও জোর, রাজ্যে শুরু হতে চলেছে আকুপাংচারের ডিগ্রি কোর্স]
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, সোমবারও আকাশ পরিষ্কার থাকবে।বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। কলকাতা ও জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করবে ১৫ ডিগ্রির আশেপাশেই। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হতে পারে ২৮ ডিগ্রি। সূর্য অস্ত যেতেই অনুভূত হবে শীতের আমেজ। রাতে বাড়বে আর্দ্রতা। আগামী ২ দিনে বেশ খানিক নামবে তাপমাত্রা। আবহাওয়া দপ্তরের এই পূর্বাভাসে মুখে হাসি শীতবিলাসীদের। জাঁকিয়ে শীত উপভোগ করতে প্রস্তত তাঁরা। শোনা গিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। যার জেরে বাংলায় বৃষ্টি না হলেও দক্ষিণ ভারতে বৃষ্টি হতে পারে।