নব্যেন্দু হাজরা: ক্যালেন্ডার বলছে, নভেম্বরও শেষ। কিন্তু রাজ্যের আবহাওয়ায় একবারেই খুশি নন শীতপ্রেমীরা। জাঁকিয়ে শীতের পূর্বাভাস থাকলেও পারদ পতনের পরিবর্তে গত দু’দিনে কলকাতায় তাপমাত্রা বেড়েছে পাঁচ ডিগ্রি। তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী হলেও জেলায় জারি রয়েছে শীতের আমেজ।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আগামী ৪৮ ঘণ্টা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে সকাল-সন্ধে হালকা শীতের ভাব থাকলেও বেলায় তা থাকবে না। দু’দিন পর থেক তাপমাত্রা ধীরে ধীরে নামবে। সোমবারের মধ্যে আবার স্বাভাবিকের কাছাকাছি আসবে তাপমাত্রা। তবে আপাতত জাঁকিয়ে শীতের দেখা মিলবে না। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তাপমাত্রা কমতে পারে। বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১.৮ ডিগ্রি। গত যা ছিল ১৯ ডিগ্রির ঘরে। পশ্চিমের জেলা-সহ সব জেলাতেই বেড়েছে তাপমাত্রা। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিংয়ের তাপামাত্রা নেমে গিয়েছে ১০ ডিগ্রির নিচে। অন্যান্য জেলার তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ১২-১৩ ডিগ্রির আশেপাশে।
[আরও পড়ুন: এবার আন্তর্জাতিক প্রশংসা পেল দুয়ারে সরকার! রাজ্যের পরিষেবায় মুগ্ধ ইউনিসেফের প্রতিনিধি]
জানা গিয়েছে, নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসবে বৃহস্পতিবার রাতে। উত্তর-পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকায় আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ঘুনাবর্ত তৈরি হতে পারে রবিবার অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বর। আসাম, মেঘালয়, মনিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরায় সকালের দিকে কুয়াশা থাকবে আগামী দুই থেকে তিনদিন। আগামী চার-পাঁচ দিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা আন্দামান-নিকোবর, দ্বীপপুঞ্জ, কর্ণাটক কেরালা তামিল এবং লাক্ষাদ্বীপ সংলগ্ন এলাকাতে। আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিকে বৃষ্টি বাড়বে রবিবার থেকে।
আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় মুখভার শীতবিলাসীদের। নভেম্বরের শেষেও কার্যত শীতের পোশাক ব্যবহারের প্রয়োজনই পড়ছে না। উলটে দুপুরের দিকে রাস্তায় বের হলে এখনও গরম অনুভূত হচ্ছে। ফলে সকলের মনেই প্রশ্ন, আদৌ কি এই মরশুমে দেখা মিলবে জাঁকিয়ে শীতের? উত্তর এখনও অজানা। তবে চুটিয়ে শীত উপভোগ করার অপেক্ষায় সকলেই।