টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: বিজেপি (BJP) বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির (Chandana Bauri) বিবাহ বিতর্ক গড়াল আরও একধাপ। তাঁর প্রেমে পাগল ‘দ্বিতীয় স্বামী’ কৃষ্ণ কুণ্ডু। চন্দনার ‘ভূত’ চেপেছে তাঁর মাথায়। তা তাড়াতে ঝাড়ফুঁকের উপরই নির্ভর করছেন স্ত্রী রুম্পা কুণ্ডু। স্বামীকে কাছে পেতে মরিয়া রুম্পাদেবী ‘সংবাদ প্রতিদিন’কে ফোনে এমনই জানিয়েছেন কাতর কণ্ঠে। শুধু এই ভাবনা ভেবেই বসে থাকেননি তিনি। শনিবার তিনি স্বামীকে নিয়ে পুরুলিয়া (Purulia), বর্ধমানে ওঝার কাছেও ছুটেছেন। তার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণও সংগ্রহ করছেন রুম্পা দেবী। তাঁর এসব কাণ্ডেই স্পষ্ট, বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির সঙ্গে ‘বিয়ে’র পরও তাঁর স্বামীকে নিজের কাছে রাখতে কতটা মরিয়া।
গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার শালতোড়ার (Saltora) বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির ‘দ্বিতীয় বিয়ে’র খবর প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, তিনি সকলের অগোচরে গাড়িচালক তথা শালতোড়ার বিজেপি কর্মী কৃষ্ণ কুণ্ডুকে বিয়ে করেছেন। পরদিন বিষয়টি জানাজানি হতে চন্দনার স্বামী শ্রবণ বাউড়ি এবং কৃষ্ণর প্রথম স্ত্রী রুম্পা কুণ্ডু উভয়েই থানায় অভিযোগ করেছেন। বাঁকুড়ার এসপি জানিয়েছিলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
[আরও পডুন: Coronavirus: একধাক্কায় অনেকটা কমল রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ, চিন্তা বাড়াচ্ছে কলকাতা]
বিয়ের ঠিক ২ দিন পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন কৃষ্ণ। তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ভরতি করানোর পর স্ত্রী রুম্পা ঠায় তাঁর পাশে ছিলেন। হাসপাতালে স্বামীর শুশ্রূষাও করেছেন তিনি। সেসময় তিনি স্বামীকে চন্দনার থেকে দূরে সরে আসার জন্য বোঝান। কিন্তু তাতেও কৃষ্ণ চন্দনার সঙ্গে সংসার করার সিদ্ধান্তেই অনড় ছিলেন। অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়ে বিজেপি বিধায়ক প্রথমদিকে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করার পর একেবারে নিশ্চুপ হয়ে গিয়েছেন। তাতেই সংশয় বেড়েছে আরও।
[আরও পডুন: Post Poll Violence: শুরু ধরপাকড়, নদিয়া থেকে সিবিআইয়ের হাতে আটক ২]
এরপর সুস্থ হয়ে কৃষ্ণ বাড়ি ফেরেন। আর তারপরই স্ত্রী রুম্পা তাঁকে নিয়ে সোজা ওঝার কাছে চলে যান। রুম্পার কথা অনুযায়ী, ”ওঝা বলেছে, চন্দনার ভূত ওর উপর ভর করেছে। ঝাড়ফুঁক করে ভূত তাড়াতে হবে। আমি সেই ঝাড়ফুঁকেই ভরসা রাখছি।” জানা গিয়েছে, ওই ওঝার কথামতো রুম্পাদেবী নাকি চন্দনার বাড়ির সামনে থেকে, তাঁর মায়ের বাড়ির সামনে থেকে মাটি ও অন্যান্য উপকরণ সংগ্রহ করেছেন। সেসব নিয়ে এবং স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে একই দিনে পুরুলিয়ায়, তারপর বর্ধমানের ওঝার কাছে যান। রুম্পার কথায়, ”আমার স্বামী পাগল হয়ে গেছে। শুধু বলছে, চন্দনাকে আনব।চন্দনা যদি ওকে ভালবেসে বিয়ে করে থাকে, তাহলে তো এতদিনে খোঁজখবর করত। জানি না, কী হবে।” সবমিলিয়ে, চন্দনা-কৃষ্ণ-রুম্পা ত্রিকোণ সম্পর্কে ফের নতুন মোড় এল স্বামীকে ফেরাতে রুম্পার নয়া পদক্ষেপ।