রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ‘দিদিকে বলো’র পালটা হিসেবে ‘চায়ে পে চর্চা’ শুরু করেছিল বিজেপি। তিনদিন আগে লেকটাউনে সেই কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন দিলীপ ঘোষ। এবার কৃষ্ণনগরে তাঁর ‘চায়ে পে চর্চা’ কর্মসূচি বানচাল করার অভিযোগ উঠল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার শহরে হতে চলা এই কর্মসূচির অনুমতি শেষ মুহূর্তে বাতিল করে দিল কৃষ্ণনগর পুরসভা।
[আরও পড়ুন: অভিনব থিম ভাবনায় কলকাতা পুলিশকে স্যালুট জানাবে শহরের এই পুজো]
এই ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ বিজেপি। এপ্রসঙ্গে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘অনুষ্ঠান রাস্তায় হলেও করব। বিকল্প জায়গায় কর্মসূচি হবে। এভাবে বিজেপিকে আটকানো যাবে না। টাকা জমা দিয়ে হল বুক করা হয়েছিল। তারপর কী করে ওরা বাতিল করল আমরা তা দেখছি। প্রয়োজনে আইনের পথে যাব।’
গত শুক্রবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ‘চায়ে পে চর্চা’কে কেন্দ্র করে লেকটাউনে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। সাতসকালে তৃণমূল এবং বিজেপি দু’পক্ষের সংঘর্ষে ভাঙে চেয়ার-টেবিল। ছেঁড়ে ব্যানার, ফেস্টুন। অভিযোগ, পুলিশের উপস্থিতিতেই দুই দলের কর্মী-সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। অশান্তির নেপথ্যে তৃণমূল জড়িত বলেই দাবি পদ্মশিবিরের।
[আরও পড়ুন: বউবাজারে গিয়ে মেট্রোর বিরুদ্ধে সুর নরম, ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গেও কথা মমতার]
বিজেপির অভিযোগ, অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবার সকালেও হাঁটতে বেরোন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। লেকটাউনে একটি দোকানে দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে চা খাওয়ার কথা ছিল তাঁর। ‘চায়ে পে চর্চা’য় যোগ দিতে ওই এলাকায় জড়ো হন বহু বিজেপি কর্মী, সমর্থক। ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে জড়ো হয়েছিলেন তাঁরা। আচমকা সাতসকালে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী, সমর্থকও ওই এলাকায় জড়ো হন। কিছু না বলে হঠাৎই ব্যানার, ফেস্টুন ছিঁড়তে শুরু করেন তাঁরা। বাধা দিতে যান স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। দু’পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়। হাতাহাতিও চলে একপ্রস্থ। ইতিমধ্যে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তাঁকে লক্ষ্য করে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়।বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় লেকটাউন থানার পুলিশ। পুলিশের সামনেও দু’পক্ষের হাতাহাতি হয়। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই ভিড় হঠিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন পুলিশকর্মীরা।
এ প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমি প্রতিদিন সকালে হাঁটতে বেরোই। কোথাও না কোথাও চা খেতে যাই। আজ এখানে এসেছিলাম। তৃণমূল যে আমাকে নিয়ে এত চিন্তিত তা ভেবেই ভাল লাগছে। আমার সামনে চেয়ার, টেবিলে লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয়। এর চেয়ে বেশি তৃণমূলের থেকে আশা করিনি।”
The post কৃষ্ণনগরে দিলীপ ঘোষের ‘চায়ে পে চর্চা’, শেষমুহূর্তে বাতিল করল পুরসভা appeared first on Sangbad Pratidin.