সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা। কিন্তু সিনেমার প্রতি টান ছিল অমোঘ। তাই তো বলিউডের পথে পা বাড়িয়েছিলেন কৃতী স্যানন (Kriti Sanon)। হিরো সর্বস্ব সিনেমার হিরোইন থেকে অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। এত কিছুর পরও কি 'বহিরাগত' হওয়ার যন্ত্রণা রয়েছে? প্রশ্নের জবাব দিলেন অভিনেত্রী।
ছবি: ইনস্টাগ্রাম
কৃতীকে প্রশ্নটি করেছিলেন উদ্যোগপতি তথা ইউটিউবার নিখিল কামাত। অভিনেত্রীর জানান, কখনও কখনও 'বহিরাগত' হওয়ার প্রভাব তাঁর মনে পড়ে। তাঁর কথায়, "আমার কেউ নেই যে একটা ফোন করবে। আগে আমার হতাশা একটু বেশি হোতো। কিন্তু আজকের অবস্থানে পৌঁছতে আমার প্রায় এক দশক লেগে গিয়েছে। আর আমি আজ যেখানে রয়েছি সেখানে নিজেকে অতটাও প্রমাণ করার প্রয়োজন নেই। যেমন বলার দরকার নেই যে আমাকে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে।"
[আরও পড়ুন: ‘বেনারসিটা হয়তো…’, তরুণী চিকিৎসকের ভেঙে যাওয়া স্বপ্নের করুণ কাহিনি শ্রুতির পোস্টে]
অর্থনৈতিক স্বাধীনতার প্রশ্নও এই সাক্ষাৎকারে করেন নিখিল, যার জবাব দিতে গিয়ে কৃতী জানান, তিনি মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে হলেও আর্থিক সমস্যা কোনওদিনও ছিল না। টাকার কথা মাথায় রেখে কোনওদিন কাজ করতে হয়নি। কারণ তাঁর বাবা ও মা দুজনেই চাকরি করতেন। নিজেকে উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য বলেন কৃতী।
কৃতী জানান, নিজের আয়ের হিসেবে তিনি রাখেন না। বাবার সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাঁর। সেখানেই সমস্ত টাকা যায়। কোনও হিসেব কখনও রাখেননি। হ্যাঁ, বাড়ি কেনার সময় জানতে চেয়েছিলেন টাকার বিষয়ে। পর্যাপ্ত অর্থ আছে শুনে চমকে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। কৃতীর বক্তব্য, একসময় বড় ব্যানার দেখে ছবি তিনিও করেছেন। কিন্তু অল্প সময়েই বুঝে গিয়েছিলেন, এই কাজ তাঁর জন্য নয়। তাই এখন ভালো স্ক্রিপ্ট ও পরিচালকদের সঙ্গেই কাজ করতে চান কৃতী। শান্তির মধ্যেই আনন্দ খুঁজে নিয়েছেন তিনি।