সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একে সুনামির মতো আছড়ে পড়া করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউতে কার্যত বেসামাল গোটা দেশ। তার উপর কুম্ভমেলায় (Kumbh Mela) একের পর এক করোনার খবর আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। এই অবস্থায় আরও একটি খবরে কুম্ভমেলা থেকে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়িয়ে দিল। কুম্ভমেলায় অংশ নেওয়া ১৯ ‘পুণ্যার্থী’ যাঁদের করোন পরীক্ষা করে পজিটিভ পাওয়া গিয়েছিল তাঁরা একটি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ। আজ রবিবার এই খবর সামনে এসেছে।
রাজস্থানের বাসিন্দা এই ১৯ ব্যক্তি উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে আয়োজিত কুম্ভমেলায় অংশ নেন। কিন্তু পরে তাঁদের করোনা পরীক্ষা করে দেখা যায় তাঁরা সংক্রমিত। ১৯ জনকেই উত্তরাখণ্ডের তেহরি জেলার এক হাসপাতালে ভরতি করা হয়। কিন্তু রবিবার জানা যায়, তাঁরা সেখান থেকে কোনও ভাবে পালিয়ে গিয়েছেন। এই খবর সামনে আসার পরই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এবং প্রশাসনের লোকেরা এখন এই ১৯ ‘পুণ্যার্থী’কে হন্যে হয়ে খুঁজছেন।
[আরও পড়ুন: প্লাস্টার কাটার অনুরোধ করেছিলাম, চিকিৎসকরা আরও ৭ দিন রাখতে বললেন: মমতা]
উত্তরাখণ্ডের এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এবং যেহেতু তাঁরা রাজস্থানের বাসিন্দা তাই মনে করা হচ্ছে তাঁরা বাড়ি ফিরে যাওয়ার চেষ্টাই করবেন। তাই গোটা বিষয়টি রাজস্থান সরকারকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা সতর্ক থাকে এবং ওই ১৯ করোনা পজিটিভ ব্যক্তিকে খুঁজে বার করতে পারে।
প্রতিদিন কুম্ভমেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তাই দেশের বিভিন্ন মহল থেকে মেলা বন্ধের দাবি উঠছে। যদিও এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে সংক্রমণের গতি শ্লথ করতে ‘প্রতীকী কুম্ভমেলা’ পালনের আরজি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শনিবার নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী মোদি লেখেন, “দুটো শাহী স্নান হয়ে গিয়েছে। এবার আমার প্রার্থনা যে করোনা মহামারীর কথা মাথায় রেখে প্রতীকী কুম্ভমেলা পালন করা হোক। এর ফলে এই সংকটের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি পাওয়া যাবে।” নিজের টুইটারে প্রধানমন্ত্রী আরও লেখেন, “আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর পূজ্য স্বামী অবধেশানন্দ গিরিজির সঙ্গে আজ ফোনে কথা বলেছি। সমস্ত সন্তদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছি। প্রশাসনের সঙ্গে সন্ন্যাসীরা সহযোগিতা করছেন। এর জন্য আমি তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছি।”