সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোর মুখে রাজ্যকে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। দাবিপূরণ না হলে আমরণ অনশনে বসবেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের ১০ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নও। বাম জমানার তুলনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সময় ঢেলে সেজেছে রাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। বেড়েছে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা। বরাদ্দ হয়েছে অতিরিক্ত বেড। এমনকী, রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ডাক্তারির আসন সংখ্যাও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দশকে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নের নথি তুলে ধরে আন্দোলনকারীদের খোঁচা দিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ তথা মিডিয়া কমিটির সদস্য় কুণাল ঘোষ।
কুণাল ঘোষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সাল পর্যন্ত রাজ্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৩৬০টি। ২০২৪ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৮৯টি। তথ্য বলছে, গত ১৩ বছরে অর্থাৎ রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পর সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংখ্যা বেড়েছে ৫২৯টি। স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে বেডের সংখ্যা। ২০১১ সালে রাজ্যের মোট সরকারি বেড ছিল ৫৮ হাজার ৬৪৭টি। বর্তমানে সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ হাজার। বেড়েছে ডাক্তারিতে ভর্তি হওয়ার আসন সংখ্যাও। ২০১১ সালে এমবিবিএস-র জন্য বরাদ্দ ছিল মোটে ১ হাজার ৩৫৫টি সিট। এখন বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ৩২৫টি। ২০১১ সালে এমডি-র আসন ছিল মোটে ৯০০টি। ২০২৪ সালে যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৭৭টি।
এই তথ্য তুলে ধরে আন্দোলনকারীদের খোঁচা দিয়েছেন কুণাল। এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, 'যাঁরা পরিকাঠামো নিয়ে 'ডেডলাইন পলিটিক্স' করছেন, তাঁরা সুদূর অতীত থেকে ৩৪ বছরের বামজমানা পর্যন্ত; আর তারপর এখন ২০২৪ -এর পরিকাঠামো সম্প্রসারণের তুলনাটা দেখুন।' উল্লেখ্য, জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে দশদফা দাবি জানানো হয়েছে। সেগুলো হল-নির্যাতিতার দ্রুত ন্যায়বিচার, স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ, হাসপাতালগুলিতে পুলিশি নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা, সমস্ত সরকারি হাসপাতালে কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা চালু করা, হাসপাতালের খালি বেডের মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করা, ছাত্র সংসদ নির্বাচন, হাসপাতালগুলির শূন্যপদ পূরণ করা, হুমকি সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা, দ্রুত সমস্ত হাসপাতালে টাস্ক ফোর্স গঠন করে সিসিটিভি বসানো, প্যানিক বোতামের ব্যবস্থা করা। তাঁদের পরিকাঠামো সংক্রান্ত দাবিদাওয়া নিয়ে আমরণ অনশনের হুমকির মাঝেই তথ্য দিয়ে পালটা আক্রমণ শানালেন কুণাল ঘোষ।