সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির (BJP) নবান্ন অভিযান বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন ইস্যু হয়ে উঠেছে। তা নিয়ে তর্কবিতর্ক চলছেই। প্রায় প্রতিদিনই ঘাসফুল ও পদ্ম শিবিরের নেতারা সাংবাদিক বৈঠক করে একে অপরকে তোপ দাগছেন। বৃহস্পতিবারও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) সাংবাদিক সম্মেলন করে গেরুয়া শিবিরের তিন নেতার মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রাখলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষকেই। বাকিদের নিয়ে তাঁর কটাক্ষ, ‘দিলীপের নখের যোগ্য নয় কেউ।’ যদিও তাঁর এই মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদার।
মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan)দিন বঙ্গে গেরুয়া ব্রিগেডের তিন নেতার উপর দায়িত্ব ছিল মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার। দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী। এঁদের তিনজনের মধ্যে তুলনামূলকভাবে দিলীপ ঘোষের পারফরম্যান্স ভাল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। যদিও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এঁদের কারও ভূমিকা নিয়েই সন্তুষ্ট নয়। ভবিষ্যতে এই ধরনের কর্মসূচি নেওয়ার আগে বঙ্গ বিজেপিকে পাঁচবার ভাবনাচিন্তা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দিল্লি (Delhi) থেকে। ওই দিনের ছবি খানিকটা এরকম, নবান্ন অভিযান শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধেই লড়াইয়ের ময়দান ছাড়েন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ কলেজ স্ট্রিট চত্বরে একটি সভায় বক্তব্য রেখেই বাড়ি চলে যান। আর রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কার্যত স্বেচ্ছায় গ্রেপ্তার হন।
[আরও পড়ুন: মদ্যপ অবস্থায় রেললাইন পারাপারই কাল, ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল কাকা ও ভাইপোর]
তিন নেতার এহেন পারফরম্যান্সকে হাতিয়ার করে বিজেপির বিরুদ্ধে একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে শাসকদল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ”রাজনৈতিক আদর্শ ভিন্ন হলেও বিজেপির যে কোনও কর্মসূচিতে দিলীপ ঘোষের উপস্থিতি, তাঁর বক্তব্যের দিকে আমাদের নজর থাকে। তাঁকে গুরুত্ব দিই আমরা। কিন্তু বাকি নেতারা শুভেন্দু অধিকারী আর সুকান্ত মজুমদারদের কোনও গুরুত্ব নেই আমাদের কাছে। ওঁরা কেউ দিলীপবাবুর নখের যোগ্য নয়।”
[আরও পড়ুন: এবার জঙ্গিদের হুমকির মুখে গুলাম নবি আজাদ, কেন নিশানায় বর্ষীয়ান নেতা]
আসলে দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে স্থলাভিষিক্ত করার পর তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে কৌতূহল রয়েছে সব রাজনৈতিক দলেরই। শাসকদলের কাছেও ‘পরিচিত’ রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী দিলীপবাবু। তাঁর সঙ্গে লড়াইয়ের আলাদা ধরন আছে। সেক্ষেত্রে সুকান্তবাবুর সঙ্গে রাজনৈতিক লড়াই তেমন জমে না বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। আজ কুণাল ঘোষের বক্তব্যেও প্রায় সেই একই ইঙ্গিত।