সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলা-সহ তিন রাজ্যে কাজের সীমা বেড়েছে বিএসএফের (BSF)। ১৫ কিলোমিটার নয়, এবার থেকে রাজ্যের ৫০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে গিয়ে তল্লাশি চালাতে পারবে। এমনকী রাজ্য পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ, গ্রেপ্তারিও করতে পারেন বিএসএফ জওয়ানরা। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদে সরব রাজ্যের শাসক তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের অন্যতম সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)টুইটে লিখেছেন, ”এটা রাজ্যের অধিকারভুক্ত এলাকায় পিছনের দরজা দিয়ে নাক গলানো।”
বিএসএফের কাজের ব্যাপ্তি বাড়ানো হয়েছে। বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনই জানানো হয়েছে। এবার থেকে বাংলা-সহ তিন রাজ্যে ৫০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে তল্লাশি চালাতে পারবে তারা। প্রয়োজনমাফিক জিজ্ঞাসাবাদ, বাজেয়াপ্ত এমনকী গ্রেপ্তার করতে পারবে তাঁরা। তবে তা শর্তসাপেক্ষে। সঙ্গে থাকবে রাজ্য পুলিশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (Ministry of Home Affairs) নয়া নির্দেশিকায় শুধু বাংলা নয়, অসম ও পাঞ্জাবেও বিএসএফের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছিল। বিএসএফের অফিসাররা এতদিন গ্রেপ্তার, বাজেয়াপ্ত এবং তল্লাশি করতে পারত। তবে সেটা ছিল আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটার ভিতর পর্যন্ত। এবার তাঁদের অবস্থান থেকে ৫০ কিমি ভিতরে ঢুকে তাঁরা এই কাজ করতে পারবেন। আর অমিত শাহের (Amit Shah) মন্ত্রকের এই নির্দেশিকা ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
[আরও পডুন: শ্রীভূমিতে উপচে পড়া ভিড়, লেজার শোয়ের পর এবার নেভানো হল ‘বুর্জ খালিফা’র আলো]
এবার বিষয়টি নিয়ে সরব হলেন কুণাল ঘোষ। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি টুইট করে জানান, বিএসএফের কাজের সীমা বাড়ানো কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে চলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এ নিয়ে যথাযথ সময়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে। তবে শাসকদলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ নিজে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কুণালের মত, ”কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যেভাবে বিএসএফের কর্মক্ষেত্র সীমান্ত থেকে ১৫ কিমির বদলে বাড়িয়ে ৫০ কিমি করল, তা প্রতিবাদযোগ্য। এটা রাজ্যের অধিকারভুক্ত এলাকায় পিছনের দরজা দিয়ে নাক গলানো।”