সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ২ কোটি টাকা। সেই টাকার উৎস ঘিরে উঠছে প্রশ্ন। কোথা থেকে এল এতো টাকা? কারা আন্দোলনকে বাঁচিয়ে রাখতে টাকা ঢালছে? কারা চাইছে যাতে সরকারি হাসপাতালে যাতে অস্থিরতা থাকে? সোশাল মিডিয়ায় এই প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। পালটা লেখার অযোগ্য ভাষায় তৃণমূল নেতাকে আক্রমণ করে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, অ্যাকাউন্টের সরকারি সমস্ত রেজিস্ট্রেশন করা আছে।
আর জি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রথমে কর্মবিরতি ও পরে অনশন। পাশাপাশি রয়েছে আইনি লড়াই। তিনমাস ব্যাপী এই আন্দোলনের খরচ বিপুল। সেই টাকা জোগাতে আমজনতার কাছে হাত পেতেছিলেন আন্দোলনকারীরা। এর মধ্য়েই তাঁদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে নথিভুক্তি করিয়েছে। এইচডিএফসি-র হাই কোর্ট শাখায় অ্যাকাউন্ট খুলেছে। ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত সেই অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। যা রক্তদান, স্বাস্থ্য ও চক্ষু শিবিরের জন্য ব্যবহৃত হবে বলে দাবি করা হয়েছে। এই সমস্ত তথ্যের প্রেক্ষিতে কুণাল ঘোষের প্রশ্ন, "টাকা দিচ্ছে কারা? কারা চায় আন্দোলনের নামে সরকারি হাসপাতাল অস্থির থাকুক? তাতে কাদের লাভ?"
শুধু তাই নয়, এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ঠিকানা হিসেবে দেখানো হয়েছে আর জি কর হাসপাতালের কেবি হস্টেলের ঘর ৩২। সরকারি অনুমতি ছাড়া সরকারি হাসপাতালের হস্টেলের কোনও ঘর কি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ঠিকানা হিসেবে দেখানো যায়, উঠছে প্রশ্ন। কুণাল লিখেছেন, "সরকারি ঠিকানায় সরকারের অনুমতি ছাড়া নথিভুক্ত এনজিও থাকে কী করে?" একইসঙ্গে তাঁর দাবি, যে যে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে তা খতিয়ে দেখা দরকার। সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে তদন্তের আওতায় আনা প্রয়োজন। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দরকার।
বিষয়টি নিয়ে জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার জানান, অ্যাকাউন্টের সমস্ত সরকারি রেজিস্ট্রেশন করা রয়েছে। ওঁর (কুণাল ঘোষ) থেকে এসব কথা শুনব না। ওঁর যদি জানার থাকে তাহলে আরটিআই করুন।"