সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহালয়ার ভোরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্মোচিত হল 'অভয়া'র আবক্ষ মূর্তি। কিন্তু সেই মূর্তি বসানো সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্যের পরিপন্থী বলে দাবি করলেন তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, নিগৃহীতার ছবি, মূর্তি নিয়ে দেশে গাইডলাইন আছে। সেখানে যন্ত্রণাক্লিষ্ট মূর্তি বসানো উচিত নয়।
কর্মক্ষেত্রে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে আর জি করের তরুণী চিকিৎসককে। নৃশংস এই ঘটনার প্রতিবাদের ঢেউ রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে দেশে, এমনকী বিদেশেও আছড়ে পড়েছে। এই ঘৃণ্য ঘটনার কথা যাতে কেউ ভুলে না যায়, সেজন্যই আর জি কর চত্বরে অভয়ার মূর্তি বসানোর সিদ্ধান্ত। কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনের সময় যে নির্মম অত্যাচারের শিকার ওই চিকিৎসক হয়েছেন, সেটাই তাঁর তৈরি আবক্ষ ‘অভয়া’ মূর্তিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মহলয়ার সকালে এই মূর্তির উন্মোচন হয়। পুরো বিষয়টিকে সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্যের পরিপন্থী বলে দাবি করেছেন কুণাল।
রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ তথা তৃণমূলের মিডিয়া কমিটির সদস্য কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'তিলোত্তমার নামে এই মূর্তিটি বসানো সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্যের স্পিরিটের পরিপন্থী। কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি এটা করতে পারেন না। শিল্পের নামেও না। প্রতিবাদ, ন্যায়বিচারের দাবি থাকবেই। কিন্তু মেয়েটির যন্ত্রণার মুখ দিয়ে মূর্তি ঠিক নয়। নিগৃহীতার ছবি, মূর্তি, নামে দেশে গাইডলাইন আছে।'
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মহালয়ার সকালেও পথ দখল কর্মসূচি নিয়েছিল নাগরিক সমাজ। সেই কর্মসূচিকেও কটাক্ষ করেন কুণাল। তিনি আরও লেখেন, 'বানতলা, ধানতলা, কোচবিহারসহ অসংখ্য ধর্ষণ, খুনের শয়তানদের ধারক বাহকরা আজ সাধু সেজে ন্যায়বিচারের নাটকের আড়ালে রাজনৈতিক স্ক্রিপ্টে অরাজকতার চেষ্টা করছে। এরা মহালয়ায় বীরেনবাবুর গলা শোনে না। সুশান্তর ভিডিও দেখে পুজোর পরিবেশ নষ্ট করতে নামে।" পরিশেষে তাঁর কটাক্ষ, 'এদের মায়াকান্নার পোস্টে রাজনীতির ক্ষুধা।'