shono
Advertisement

‘কাক এঁকে ১০ লাখ, কোকিল আঁকুন ৩০ লাখ পাবেন’, শুভাপ্রসন্নকে খোঁচা কুণাল ঘোষের

কুণাল মনে করিয়ে দেন, সারদা মিডিয়ায় তিনি যে ভূমিকায় ছিলেন তাতে গোপনীয়তা কিচ্ছু নেই।
Posted: 02:04 PM Feb 27, 2023Updated: 02:11 PM Feb 27, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে জবাব দিতে গিয়ে ফের তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়লেন শিল্পী শুভাপ্রসন্ন। শুভার বক্তব‌্য, কুণাল গল্প বলতে ভালবাসে। সরকারের থেকে শিল্পী কিছু নেননি। যা করেছেন ছবি এঁকে নিজের পয়সা খরচ করে। তাঁর একেকটা ছবি বিকোয় ১০ থেকে ১৫ লাখে। এই মন্তব্যেরই খোঁচা কেন কুণাল।

Advertisement

তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল (Kunal Ghosh) প্রথমেই মনে করিয়ে দেন, নতুন করে শুভা-ইস্যুতে আর কিছু বলতে চান না। গত কয়েকদিনের ঘটনার উপসংহারে কী ঘটেছিল সে প্রসঙ্গ টেনে এরপর শুভাকে কুণালের খোঁচা, “এঁকে টাকা পান, ভাল তো। এটা তো ঘটনা যে শুভাদা শিল্পী মানুষ। ভাল কাক এঁকে যদি ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পান, এবার একটা কোকিল আঁকুন। ৩০ লাখ টাকা পাবেন।”

[আরও পড়ুন: ‘সংবাদের গৈরিকীকরণ’, এবার শুধু RSS ঘনিষ্ঠ সংবাদ সংস্থা থেকে খবর কিনবে দূরদর্শন-আকাশবাণী!]

গত কয়েকদিন ধরে যা চলছিল তা নিয়ে কুণালকে একদিন আগেই প্রশ্ন করা হলে আর কিছু বলতে চাননি তিনি। কিন্তু রবিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে কুণালকে নিশানা করে বসেন শুভা। বলেন, “ও (কুণাল ঘোষ) গল্প বলতে ভালবাসে। গল্প বলুক। খাল কেটে কুমির ডাকুক। তাহলেই হবে।” তারপর এক সাংবাদিককে তাঁর প্রশ্নের জবাবে ক্ষিপ্ত হয়ে একেবারে হুঁশিয়ারির সুরে শুভাপ্রসন্ন (Subhaprasanna) বলে ওঠেন, “আমাকে তো অনেকদিন চেনো। কত পদ নিয়ে কী করেছি? নিজের পয়সা খরচ করে করেছি। ওদের মতো নয়। আমি কোনওদিন সরকারের কাছ থেকে কিচ্ছু ব‌্যবহার করিনি। একটা ছবি আঁকি। ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পাই। তোমরা পাও?” এরই জবাব দেন কুণাল।

বিগত কয়েকদিনের ঘটনাপ্রসঙ্গ টেনে বলেন, “শুভাদা যা-ই বলুন, আমার যা বলার বলে দিয়েছি। আমি আর সে প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চাই না।” তাঁর সংযোজন, “ওঁর মনে হয়েছে বলেছেন। একটু রেগে আছেন। বয়স্ক মানুষ। শুভাদাও জানেন আগের ঘটনার উপসংহার কী হয়েছে। আমার মুখ দিয়ে কেন বলাচ্ছেন!” কুণাল মনে করিয়ে দেন, সারদা মিডিয়ায় তিনি যে ভূমিকায় ছিলেন তাতে গোপনীয়তা কিচ্ছু নেই। তাঁর চেক সই করারও কোনও অধিকার ছিল না। শুভাকে নিশানা করে কুণাল বলেন, “কারও কাছ থেকে আমার এক টাকা নেওয়ার অধিকারও ছিল না, কাউকে এক টাকা দেওয়ার অধিকারও ছিল না। কিন্তু যাঁরা টাকাটা নিয়েছেন, তাঁদের অধিকার ছিল। কোম্পানি বিক্রি করার পরও যিনি ডিরেক্টর থেকে গিয়েছেন, এসব তাঁদের ব‌্যাপার। আমি বলতে পারব না।”

[আরও পড়ুন: অগ্নিকাণ্ডের জেরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, টর্চ জ্বেলেই চিকিৎসা চলছে সাঁইথিয়ার হাসপাতালে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement