সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিলিয়ান এমবাপে (Kylian Mbappe) ও এমিলিয়ানো মার্টিনেজের (Emi Martinez) আবার দেখা। কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালের পরে প্যারিসে আবার মুখোমুখি দুই তারকা।
কাতারের ফাইনালে এমবাপে হতাশ হয়েছিলেন। তাঁর সামনে দিয়ে বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। বারের নীচে দাঁড়িয়ে এমলিয়ানো মার্টিনেজ স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছিলেন ফরাসিদের। ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কারের অনুষ্ঠানে এসে কি হতাশ হননি ফরাসি তারকা?
[আরও পড়ুন: খুদে ভক্তের ব্যাটিং দেখে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন পন্থ, ক্রিকেটারের আচরণে মুগ্ধ নেটিজেনরা]
১৮ ডিসেম্বরের রাতে মন ভেঙেছিল এমবাপের। ফিফার বর্ষসেরা দ্য বেস্ট অ্যাওয়ার্ডের রাতেও তাই। রাতটা ছিল আর্জেন্টিনার। মেসি জিতলেন বর্ষসেরার সম্মান। এমলিয়ানো মার্টিনেজ সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার। লিওনেল স্কালোনি জিতে নেন সেরা কোচের সম্মান।
এমিলিয়ানো মার্টিনেজের হাতে যখন সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার উঠল, তখন ক্যামেরা ধরে কিলিয়ান এমবাপেকে। ফরাসি তারকা নিজেও বুঝতে পারেননি, তাঁকে ধরা হয়েছে ক্যামেরায়। এমবাপের মুখের অভিব্যক্তি ধরা পড়ে তখন। তাঁর মুখ থমথমে। বজ্রাহতের মতো এমবাপে তাকিয়ে মার্টিনেজের দিকে।
আর্জেন্টাইন গোলকিপারের সঙ্গে এমবাপের মাঠে ও মাঠের বাইরের লড়াই নিয়ে মহাকাব্য রচনা হয়ে যাবে। কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে থাকতেই শুরু হয়েছিল কথার যুদ্ধ। ফাইনালের পরেও চলে তা। মার্টিনেজের সঙ্গে বর্ষসেরা গোলকিপার হওয়ার দৌড়ে ছিলেন থিবাও কুর্তোয়া এবং ইয়াসিন বোনু। কিন্তু মার্টিনেজ যে বর্ষসেরা গোলকিপার হবেন, সেই দেওয়াললিখন অনেকেই বহু আগে পড়ে ফেলেছিলেন। মার্টিনেজের হাতে যখন বর্ষসেরা গোলকিপারের পুরস্কার ওঠে, তখন এমবাপে চুপচাপ।
মার্টিনেজ অবশ্য এমবাপেকে নতুন করে কটাক্ষ করেননি। কিন্তু বিশ্বকাপ ফাইনালের পর থেকে আর্জেন্টাইন গোলকিপারের নিশানায় ছিলেন এমবাপে। তা নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়। বিতর্কও হয়। দিনকয়েক আগে মার্টিনেজ বলেছিলেন, মেসি অবসর না নেওয়া পর্যন্ত এমবাপের কপালে জুটবে না ব্যালন ডি অর। মেসি অবসর নেওয়ার পর এমবাপে একাধিক বার ব্যালন ডি অর জিতবে। ও দুর্দান্ত প্লেয়ার। শেষবেলায় এসে মেসি রাঙিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন। খেলার মাঠে এবং পুরস্কার বিতরণী মঞ্চেও।