shono
Advertisement

নিউ নর্মালে নেই দর্শক, বন্ধের মুখে কলকাতার এই চার বিখ্যাত সিনেমা হল

করোনা কালে নতুন কনটেন্টের অভাব, হলে আসছেন মাত্র চার-পাঁচজন দর্শক।
Posted: 01:45 PM Nov 03, 2020Updated: 09:32 PM Nov 03, 2020
@font-face { font-family: 'Noto Sans Bengali'; font-style: normal; font-weight: 400; src: url(https://www.sangbadpratidin.in/wp-content/themes/SANGBADPRATIDIN/assets/fonts/noto-font/NotoSansBengali-Regular.eot); src: url(https://www.sangbadpratidin.in/wp-content/themes/SANGBADPRATIDIN/assets/fonts/noto-font/NotoSansBengali-Regular.eot?#iefix) format('embedded-opentype'), url(https://www.sangbadpratidin.in/wp-content/themes/SANGBADPRATIDIN/assets/fonts/noto-font/NotoSansBengali-Regular.woff2) format('woff2'), url(https://www.sangbadpratidin.in/wp-content/themes/SANGBADPRATIDIN/assets/fonts/noto-font/NotoSansBengali-Regular.woff) format('woff'), url(https://www.sangbadpratidin.in/wp-content/themes/SANGBADPRATIDIN/assets/fonts/noto-font/NotoSansBengali-Regular.ttf) format('truetype') } @font-face { font-family: 'Noto Sans Bengali bold'; font-style: normal; font-weight: 700; src: url(https://www.sangbadpratidin.in/wp-content/themes/SANGBADPRATIDIN/assets/fonts/noto-font/NotoSansBengali-Bold.eot); src: url(https://www.sangbadpratidin.in/wp-content/themes/SANGBADPRATIDIN/assets/fonts/noto-font/NotoSansBengali-Bold.eot?#iefix) format('embedded-opentype'), url(https://www.sangbadpratidin.in/wp-content/themes/SANGBADPRATIDIN/assets/fonts/noto-font/NotoSansBengali-Bold.woff2) format('woff2'), url(https://www.sangbadpratidin.in/wp-content/themes/SANGBADPRATIDIN/assets/fonts/noto-font/NotoSansBengali-Bold.woff) format('woff'), url(https://www.sangbadpratidin.in/wp-content/themes/SANGBADPRATIDIN/assets/fonts/noto-font/NotoSansBengali-Bold.ttf) format('truetype') } p {font-family: 'Noto Sans Bengali', sans-serif; font-size: 20px; line-height: 33px;}

শম্পালী মৌলিক: পুজোর মুখে বেশ কিছু বাংলা ছবি মুক্তির পর কিছুটা আশার আলো দেখা গিয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই পরিস্থিতি ফের অন্ধকার। করোনা (CoronaVirus) কালে কনটেন্টের অভাব ছাপ ফেলেছে জনসমাগমের সংখ‌্যায়। ফলে কলকাতা (Kolkata) শহরের কিছু প্রেক্ষাগৃহ আপাতত বন্ধের কথা ভাবছে, কমেছে শো-এর সংখ‌্যাও। ৬ নভেম্বর অর্থাৎ আগামী শুক্রবার থেকে কেউ কেউ সিনেমা হল শাট ডাউন করতে পারেন বলেই খবর। এমন ভাবনাচিন্তা করছেন অশোকা, প্রিয়া, বসুশ্রী এবং মেনকা সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ। অন‌্যান‌্য সিঙ্গল স্ক্রিনের অবস্থাও শোচনীয়। বড় বাজেটের হিন্দি ছবি জাতীয় স্তরে মুক্তি না পেলে এবং মহারাষ্ট্রে সিনেমা হল না খুললে পরিস্থিতি উন্নতির সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।

Advertisement

‘প্রিয়া’ সিনেমা হলের (Priya Cinema) কর্ণধার অরিজিৎ দত্তকে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে বলেন, “আমি এই মুহূর্তে সিকিমে রয়েছি। ৫ নভেম্বর কলকাতায় ফিরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। তবে মনে হচ্ছে আপাতত হল বন্ধ করতেই হবে। কারণ কোনও ছবি নেই। সবমিলিয়ে খুব খারাপ পরিস্থিতি। চারটে শোয়ের জায়গায় এখন দু’টো করে চলছে। চারজন-পাঁচজন করে দর্শক আসছে, এটা কর্মচারীদের জন‌্য এবং আমার জন‌্যও সাইকোলজিক‌্যালি খুব ডিপ্রেসিং। যদি টাকাপয়সার কথা নাও ধরি, নতুন কোনও কনটেন্ট না থাকলে তো এভাবে হল চালানো সম্ভব নয়।”

কথা হচ্ছিল ‘অশোকা’ সিনেমা হলের (Asoka Cinema Hall) মালিক প্রবীর রায়ের সঙ্গে। তাঁকেও বেশ হতাশ শোনাল, “পুজোতে যে বাংলা ছবিগুলো মুক্তি পেয়েছিল, সেগুলো প্রথম সপ্তাহ যাওয়ার পর থেকেই খুব খারাপ অবস্থায়। মানে কোনওটারই তেমন বিক্রি নেই। শেষ শুক্রবার থেকে আমরা দু’টো করে শো চালাচ্ছি। কিন্তু এরপর ৬ নভেম্বর থেকে আর কোনও কনটেন্ট নেই। চালাব কী? যতক্ষণ না মহারাষ্ট্রে সিনেমা হল খুলছে হিন্দি ছবির সাপ্লাই আসছে না। শুধু বাংলা ছবি দু’-এক সপ্তাহ অন্তর রিলিজ হলে আমরা কী করে চালাব? ১৩ তারিখ একটা বাংলা ছবি ‘সুইৎজারল‌্যান্ড’ (Switzerland) রিলিজ আছে কিন্তু তারপর কী হবে? হল একদম বন্ধ করার ইচ্ছে নেই কিন্তু কনটেন্ট না পাওয়া গেলে অটোমেটিকালি বন্ধ করতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি যতক্ষণ খুলে রাখা যায়। তবে বিক্রি একদম নেই। দু’জন-তিনজন করে লোক হচ্ছে। তাই অন‌্য কোনও কারণে নয়, কনটেন্ট নেই বলে হল বন্ধ করার ভাবনাচিন্তা চলছে।”

[আরও পড়ুন: বন্ধ রক্তক্ষরণ, চিকিৎসায় খানিকটা সাড়া দিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়]

অন‌্যদিকে ‘নবীনা’ সিনেমার (Navina Cinema) কর্ণধার নবীন চৌখানি বলছেন, “আগামী সপ্তাহ থেকে কনটেন্ট না থাকলেও, একটি করে শো হলেও হল চালু রাখতে চাই। ‘নবীনা’ আমি বন্ধ করছি না।” শহরের আরেক ঐতিহ‌্যবাহী সিনেমা হল ‘বসুশ্রী’র (Basusree Cinema) অন‌্যতম কর্ণধার সৌরভ বসুর কণ্ঠেও বিষাদ, “পুজোতে রিলিজ করা ছবিগুলোর কোনওটাই তেমন চলেনি। দর্শক না আসায় শো কমাতে বাধ‌্য হয়েছি। আগামী দিনে নতুন বড় রিলিজ বা হিন্দি ছবি না এলে কী হবে বলা মুশকিল। ৬ তারিখ থেকে মনে হচ্ছে হল বন্ধ রাখতে হবে।”

‘মেনকা’ সিনেমার (Menoka Cinema Hall) তরফ থেকে মালিক প্রণব রায় বললেন, “একদম বন্ধ করার কথা ভাবছি না। কিন্তু এখন তো কোনও ছবি নেই। ছবি না থাকলে সিনেমা হল কীভাবে চালাব? মহারাষ্ট্রে তো হল খুলছে না। ওখানে কবে খুলবে সেই বিষয়েও কিছু বলতে পারছে না। যে ছবিগুলো আসার কথা ছিল, সব পিছিয়ে গিয়েছে। যেমন– ‘৮৩’, আর ‘সূর্যবংশী’ ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে আসার কথা ছিল। সেগুলো এখন চলে গিয়েছে এপ্রিল-মে মাসে। এই অবস্থায় হাউস খুলে তো কোনও লাভ নেই। খুলে চালাব কী? দিওয়ালিতে একটা বাংলা ছবি এলে, একটা শো চলতে পারে। সেই ছবিই কিন্তু প্রত্যেক হাউসে চলবে। কারণ কারওরই কোনও প্রোগ্রাম নেই। একটা ছবি সব হাউসে লাগিয়ে কি বিক্রি হতে পারে? ধরুন বড় ছবি, ‘কাকাবাবু’ বা ‘বেলাশুরু’র মতো ব্র‌্যান্ডেড ছবি এলে তবু লোকজনের প্রত‌্যাশা থাকে। সেক্ষেত্রে দু’টো করে শো দিলে, দু’-তিনটে সপ্তাহ চলে যেতে পারে। কিন্তু এমনিতে একটা ছবি পড়ার পর বোঝা যায় চলবে, কি চলবে না। আপাতত সামনের শুক্রবার থেকে বন্ধের কথা ভাবছি। কারণ আর প্রোগ্রাম নেই। পুজোতে যা রিলিজ হয়েছে, একমাত্র ‘ড্রাকুলা স‌্যর’ একটু ভাল চলেছে। বাকি একটাও নয়। সেগুলোও তো দু’সপ্তাহ চলেছে। আর কতদিন চালানো যায়? ছবির সাপ্লাই আবার এলেই হল খুলে যাবে। না মুম্বই, না মাদ্রাজ, কোনও জায়গা থেকেই তো সাপ্লাই নেই। বাংলার সব ব্র‌্যান্ডেড ছবি কিন্তু ডিসেম্বরে চলে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা চালাব কী? কনটেন্ট থাকলে বন্ধ করতাম না। দিওয়ালিতেও যদি হঠাৎ মিরাকল হয়, ছবি এসে যায়, তাহলে হল খুলে যাবে।” বোঝাই যাচ্ছে সবাই করোনার (COVID-19) সংকটকাল কাটার অপেক্ষায়। আর প্রতীক্ষা মহারাষ্ট্রে থিয়েটার খোলার, তবেই এই মেঘ কাটতে পারে।

[আরও পড়ুন: হিন্দু ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে বিপাকে ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’, অমিতাভের বিরুদ্ধে FIR]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement