shono
Advertisement

‘বেআইনিভাবে লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করেছে ভারত’, ফের প্ররোচনা চিনের

কয়েকদিন আগে একই সুর শোনা গিয়েছিল কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর গলতেও।
Posted: 05:07 PM Oct 13, 2020Updated: 05:09 PM Oct 13, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় স্থিতাবস্থা ফেরাতে চিনের সঙ্গে লাগাতার আলোচনা চলছে। তার মাঝেই লাদাখ নিয়ে ফের প্ররোচনামূলক মন্তব্য করল বেজিং। তাঁদের অভিযোগ, “বেআইনিভাবে লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করেছে ভারত। তাই তাকে মান্যতা দেয় না চিন।”

Advertisement

সোমবার সীমান্ত এলাকায় মোট ৪৪টি সেতুর উদ্বোধন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এর মধ্যে আটটি লাদাখ ও আটটি অরুণাচল সীমান্তে। এ নিয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ানের কাছে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে তিনি বলেন, “বেআইনিভাবে লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করেছে ভারত। চিন একে মান্যতা দেয় না। অরুণাচল প্রদেশকেও ভারতের অংশ হিসেবে মান্যতা দেওয়া হয় না। তাই সীমান্ত এলাকায় সামরিক বাহিনীর সুবিধার জন্য পরিকাঠামো উন্নয়নের ঘোর বিরোধিতা করছি আমরা।”

[আরও পড়ুন : রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদের সদস্য হতে চলেছে উইঘুর গণহত্যায় অভিযুক্ত চিন]

পূর্ব লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনার দায় ভারতের কাঁধে চাপিয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের দাবি, সীমান্ত এলাকায় ভারতের সামরিক সজ্জা বৃদ্ধিই দুদেশের মধ্যে উত্তেজনার মূল কারণ। একইসঙ্গে তাঁর আরজি, উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে এমন কোনও কাজ ভারতের করা উচিৎ নয়। এর আগেও একই ধরণের মন্তব্য করেছিল চিন। চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন জানিয়েছিলেন, “চিন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে লাদাখকে (Ladakh) মান্যতা দেয় না। ভারত বেআইনিভাবে এটিকে কেন্দ্রশাসিত (UT) অঞ্চলে পরিণত করেছে। ভারত-চিনের উত্তেজনা প্রশমন করতে দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক চলছে। এমন পরিস্থিতিতে যে কোনও প্ররোচনামূলক মন্তব্য পরিস্থিতির অবনতি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

[আরও পড়ুন : ভারত সীমান্তের কাছে নেপালের জায়গা দখল করে ঘাঁটি বানাচ্ছে চিন]

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা (Article 370) ও ৩৫এ ধারার অবলুপ্তি ঘটায় কেন্দ্রের এনডিএ সরকার। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের ফলে জম্মু একটি এবং কাশ্মীর ও লাদাখ মিলে আরেকটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এর আগে কাশ্মীর ও লাদাখ মিলে একটি রাজ্য ছিল। তবে বিশেষ মর্যাদা অনুযায়ী, তার নিজস্ব পতাকা-সহ একাধিক সুয়োগ-সুবিধা ছিল।

এদিকে লাদাখে চিনা আগ্রাসনেক কারণ হিসেবে ৩৭০ ধারা বিলোপকে দায়ী করে বেজায় বিপাকে পড়েছেন কাশ্মীরের প্রাকত্ন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা। এদিনও তাঁর মন্তব্যের প্রতিবাদে কাশ্মীরের রাস্তায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেতা-কর্মীরা। 

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement