সুব্রত বিশ্বাস: আবারও পুলিশের মানবিক মুখ দেখা দিল শ্রমিক ট্রেনের ঘটনা ঘিরে। এবার রাঁচি ডিভিশনের হাতিয়া স্টেশনে এক মহিলা এসআই নিজের আবাসন থেকে দুধ নিয়ে তা পৌঁছে দিলেন চার মাসের এক অভুক্ত শিশুর মায়ের কাছে।
[আরও পড়ুন: কেন গালওয়ানের দখল নিতে মরিয়া চিন? জেনে নিন সত্যিটা]
মঙ্গলবার এই ঘটনা চাউর হতেই ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করলেন ঝাড়খন্ড পুলিশের কর্তারা। কিছুদিন আগে কর্ণাটকের বেলগাম থেকে ইউপির গোরক্ষপুরগামী এক শ্রমিক ট্রেনে অভুক্ত তিন মাসের শিশুকন্যাকে দৌড়ে দুধ পৌঁছে দিয়ে সুনাম কুড়িয়ে ছিলেন আরপিএফ জওয়ান ইন্দর সিং। রেলমন্ত্রীর তারিফ থেকে জিএমের অর্থ পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। এবার বেঙ্গালুরু থেকে গোরক্ষপুরগামী শ্রমিক ট্রেনে যাত্রা করছিলেন মেহেরুন্নেসা বেগম। দীর্ঘ যাত্রার পাশাপাশি তাঁর উৎপাদিত মাতৃদুগ্ধ কম হওয়ায় চার মাসের শিশুটি প্রায় অভুক্ত ভাবেই যাত্রা করছিল। খিদেয় অসুস্থ হয়ে পড়েছিল শিশুটি। নিজের শারীরিক দুর্বলতার কথা কাউকে বলতে পারেননি মেহেরুন্নেসাও। বুধবার সকালে ট্রেন হাতিয়া স্টেশনে ঢোকার পর মেহেরুন্নেসা মহিলা এসআই দেখে তাঁকে সমস্যার কথা জানিয়ে দুধের কথা বলেন। এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করেই মহিলা এসআই সুশীলা বরাইক স্টেশন লাগোয়া নিজের আবাসনে রাখা দুধ দৌড়ে নিয়ে আসেন। তুলে দেন বিপন্ন মায়ের হাতে। দুধ খেয়ে শিশুর কান্না থামে।
সুশীলা বরাইক জানিয়েছেন, “ট্রেন থেকে কিছু যাত্রী নেমে যাওয়ার পর ওই মহিলা সমস্যার কথা বলেন। সময় না থাকায় স্টেশন লাগোয়া আমার আবাসনে চলে যাই। তড়িঘড়ি দুধ একটু গরম করে জলের বোতলে তা ভরে নিয়ে এসে মায়ের হাতে তুলে দিয়েছি।” রেল পুলিশের কর্তারা মহিলা এসআইয়ের কর্ম তৎপরতায় খুশি। উল্লেখ্য, শ্রমিক ট্রেনগুলিতে খাবার ও পানীয় সঙ্কটের অভিযোগ বারবার উঠেছে। হয়েছে বিক্ষোভও। কিন্তু সমস্যা মেটেনি। রেল ঘোষণা করেছে ষাট হাজারের বেশি শ্রমিককে ঘরে ফেরানো হয়েছে। উপার্জনও কম নয়, ৩৬৫ কোটি টাকা রেলের ভাঁড়ারে এসেছে। কিন্তু ট্রেন যাত্রায় মারা গিয়েছেন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। বিভিন্ন রাজ্য থেকে অভিযোগও উঠেছে রেলের উদাসীনতার বিরুদ্ধে। তবে এই ঘটনা প্রমাণ করে দিয়েছে মানুষ মানুষের জন্য। বিপদে পাশে দাঁড়ানোর নাম মানবতা।
[আরও পড়ুন: ‘জওয়ানদের বলিদান ব্যর্থ হবে না’, চিনকে কড়া বার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির]
The post খিদেয় কাঁদছে ৪ মাসের শিশু, বাড়ি থেকে ট্রেনে দুধ পৌঁছে দিলেন পুলিশকর্মী appeared first on Sangbad Pratidin.