সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একসময় রাজেশ খান্নার সঙ্গে তাঁর সাহসী দৃশ্য নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল বলিউডে। সেই নায়িকা, লায়লা খানের মৃত্যু হয়েছিল মর্মান্তিক। অবশেষে সেই হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হল তাঁর সৎ বাবা পরভেজ তাক। সাজা ঘোষণা ১৪ মে।
২০১১ সালে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নাসিকে লায়লা ও তাঁর মা সেলিনা-সহ ৬ জন খুন হন তাকের বাংলোয়। বাকিরা ছিল লায়লার ভাইবোন। হত্যাকারী তাঁদের খুন করে দেহ মাটিতে পুঁতে রেখেছিল। পরে লায়লার বাবা ও সেলিনার প্রথম স্বামী নাদিরশাহ প্যাটেল নিখোঁজ ডায়রি করেন থানায়। অনেক পরে উদ্ধার হয় কঙ্কাল। ডিএনএ পরীক্ষা করে শনাক্ত করা হয় মৃতদের। নড়েচড়ে বসে পুলিশ। সম্পত্তির বিরোধের কারণে হত্যাকাণ্ডের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি তদন্তকারীরা। তাক পুলিশকে প্রাথমিক ভাবে বলেছিল, তার স্ত্রী যেভাবে দ্বিতীয় স্বামী আসিফ শেখের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছেন তা তার পছন্দ হচ্ছিল না।
[আরও পড়ুন: ভোটের মাঝে ফের উদ্ধার টাকার পাহাড়! অন্ধ্রপ্রদেশে ট্রাক থেকে উদ্ধার ৮ কোটি]
পরে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় তাক জানায়, ঘটনার দিন সকলে মিলে বারবিকিউ করছিল তারা। রাত ১টা নাগাদ নাচগানও করে সবাই। কিন্তু খানিক পরেই সেলিনা ও তার মধ্যে প্রবল বচসা হয়। আর তার পরই একটা ভারী বস্তু দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে সে। সঙ্গে সঙ্গে মারা যান সেলিনা। চিৎকার শুনে বাকিরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। আর তার পরই দুমাস আগে নিযুক্ত চৌকিদার শাকিরের সঙ্গে মিলে বাকিদেরও খুন করে তাক। অবশেষে বৃহস্পতিবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। আগামী ১৪ মে সাজা ঘোষণা হবে।
উল্লেখ্য, লায়লা খান নতুন সহস্রাব্দের শুরুতে কন্নড় ছবি 'মেকআপ'-এর মাধ্যমে রুপোলি পর্দার জগতে পা রাখেন। সেটা ২০০২ সাল। পরবর্তী সময়ে তিনি বেশ কয়েকটি ছবিতে কাজ করেন। এর মধ্যে অন্যতম 'বফা: দ্য ডেডলি লাভ স্টোরি' (২০০৮)। সেই ছবিটিও অবশ্য তাঁর অন্য ছবির মতোই ফ্লপ হয়েছিল। কিন্তু ছবিতে কিংবদন্তি নায়ক রাজেশ খান্নার (Rajesh Khanna) লায়লার বেশ কয়েকটি সাহসী শয্যাদৃশ্য সাড়া ফেলেছিল। এই ছবির পরই তৃতীয় শ্রেণির ছবিতে কাজ করা শুরু করেন লায়লা।