সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লখিমপুর (Lakhimpur) খেরি কাণ্ডে উদ্বেগপ্রকাশ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। ওই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ সরকারকে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল সর্বোচ্চ আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামিকাল শুক্রবার। তার আগেই এই মামলায় কারা মূল অভিযুক্ত, ঠিক কী হয়েছিল, কাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, ক’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সবটা স্টেটাস রিপোর্টের মাধ্যমে শীর্ষ আদালতকে জানাবে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
গতকালই লখিমপুরের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে শীর্ষ আদালত। যদিও আজ প্রধান বিচারপতি জানান, দুই আইনজীবীর ফোন পাওয়ার পরই তাঁরা মামলাটি দায়ের করেছেন। প্রথমে তাঁরা একটি জনস্বার্থ মামলাই দায়ের করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, রেজিস্ট্রারের ভুলে জনস্বার্থ মামলার বদলে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত লখিমপুর খেরির ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ সরকারের ভূমিকায়, সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) যে সন্তুষ্ট নয় তা বোঝা গিয়েছে প্রধান বিচারপতি রামানার বক্তব্যেই। তিনি বলছেন,”সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হল, এ বিষয়ে সঠিকভাবে কোনও এফআইআর দায়ের হচ্ছে না। সঠিকভাবে ঘটনার তদন্তও করা হচ্ছে না।” আগামী কাল হলফনামায় উত্তরপ্রদেশ সরকারকে বিস্তারিত জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘কোনওদিন ভাবিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হব’, ঋষিকেশে অকপট প্রধানমন্ত্রী]
এদিকে, লখিমপুর খেরি মামলার তদন্তের জন্য এক সদস্যের একটি কমিশন গড়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। কমিশনের সদস্য হলেন এলাহাবাদ হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি প্রদীপ কুমার শ্রীবাস্তব। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের জন্য জেলাস্তরে আলাদা একটি কমিটি গঠন করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ (UP Police)। লখনউয়ের আইজি লক্ষ্মী সিং জানিয়েছেন, পুলিশের তরফে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দেওয়া হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষও প্রমাণ হিসাবে ভিডিও পাঠাতে পারবেন।
[আরও পড়ুন: Petrol Prices: ‘রুটিন’ মেনে ফের বাড়ল পেট্রল-ডিজেলের দাম, আন্তর্জাতিক বাজারকে দুষছেন নির্মলা]
যদিও, ঘটনার পর প্রায় চারদিন কেটে গেলেও এখনও কেউ গ্রেপ্তার হননি। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রের খবর ঘটনার মূল অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে আশিস মিশ্রর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তাতে বলা হয়েছে, আশিস মিশ্রর নেতৃত্বেই ঘটনাস্থলে গুলি চলেছে। এমনকী হামলাকারী গাড়িটিতেও তিনি ছিলেন। কিন্তু তাহলে আশিসকে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? পুলিশের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ছেলের খোঁজ চলছে। তাঁকে পেলেই গ্রেপ্তার করা হবে।