অর্ণব আইচ: আনন্দপুর থানায় ভুয়ো ধর্ষণ মামলা এবং নেতাজি নগরে অপহরণের ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন করল লালবাজার। ৭ আধিকারিককে নিয়ে তৈরি সিটে রয়েছেন গুন্ডাদমন শাখা এবং গোয়েন্দা বিভাগের অফিসাররা। আর সেই সিট কাজে নেমে ইতিমধ্যে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে মাস্টারমাইন্ড রয়েছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে। আগেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে বিক্রম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এবার ধৃত বিশ্বনাথ দাস নামে যুবকের সঙ্গে মিলে গোটা পরিকল্পনা করে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
গত ৮ তারিখ আনন্দপুরে (Anandapur) চলন্ত গাড়িতে যুবতীর ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। একই সময়ে নেতাজি নগর থানায় শুভজিৎ মণ্ডল নামে এক যুবককে অপহরণের অভিযোগও দায়ের হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ বুঝতে পারে, দুয়ের মধ্যে যোগ রয়েছে। এর পর ধীরে ধীরে তদন্তকারীরা বুঝতে পারেন, আনন্দপুরে আদৌ ধর্ষণের ঘটনাই ঘটেনি। তা সাজানো হয়েছিল। এই ঘটনায় যারা জড়িত, তারাই অপহরণের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত হিসেবে বিক্রমকে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[আরও পড়ুন: বিয়ের প্রস্তাবে ‘না’ বলায় হেনস্তা! দলেরই নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক TMC কাউন্সিলর]
জোড়া মামলার কিনারা করতে লালবাজার এবার সিট তৈরি করল। গোয়েন্দা বিভাগের একাধিক আধিকারিকরা রয়েছেন এই সিটে। সিটের তদন্তে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের যোগ রয়েছে এই ঘটনায়। একটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত হয়েছে, তার চাবিও পাওয়া গিয়েছে। বিশ্বনাথ ও বিক্রম মিলে ষড়যন্ত্র করেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এর সঙ্গে আর্থিক কেলেঙ্কারির যোগাযোগ রয়েছে, তা আগেই বোঝা গিয়েছিল। কিন্তু আসল ঘটনা কী, কেন ভুয়ো ধর্ষণ, কেনই বা যুবককে অপহরণ – সেসব খতিয়ে দেখতে নেমেছে সিট।