সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অক্সিজেন সংকটের খবর পাওয়া মাত্রই গড়িয়ার রেমেডি হাসপাতালের পাশে দাঁড়াল লালবাজার (Lalbazar) ও একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। পাঠানো হয়েছে একাধিক অক্সিজেন সিলিন্ডার। ফলে এযাত্রায় সংকট কাটল বলেই মনে করা হচ্ছে।
সোমবার গড়িয়ার (Garia) রেমেডি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন ৮০ জন রোগী। তাঁদের প্রত্যেকেরই অক্সিজেন স্যাচুরেশন তলানিতে। এক মিনিটের জন্য অক্সিজেন বন্ধ হলেই মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এই পরিস্থিতিতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, যা অক্সিজেন আছে তাতে আর মাত্র আড়াই ঘণ্টা চলবে! হাসপাতালের ডিরেক্টর বিমান ভট্টাচার্য বলেন, “সোমবার বিকেলে আমার সঙ্গে স্বাস্থ্যভবনের কথা হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্তারা জানিয়েছেন অক্সিজেন (Oxygen Cylinder) আসবে। কিন্তু সেই অক্সিজেন আসতে মঙ্গলবার ভোর রাত হয়ে যাবে।” কী হবে জানা নেই। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই অক্সিজেন জোগাড়ে তৎপর হয়ে ওঠে সবমহল। যথাসাধ্য সাহায্যের চেষ্টা করেন প্রত্যেকে। খবর পেয়েই সাধ্যমতো অক্সিজেন সিলিন্ডার হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় লালবাজার। বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফেও পাঠানো হয় অক্সিজেন। ফলে সমস্যা মিটে যায়।
[আরও পড়ুন: অস্ত্রোপচার ছাড়াই শিশুর গলায় আটকে থাকা ব্লেড বের করে নজির ক্যানিং হাসপাতালের]
কিন্তু কেন এই সমস্যা?সূত্রের খবর, এই হাসপাতালের কিছু কাগজপত্র সংক্রান্ত গন্ডগোল রয়েছে। স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা একাধিকবার বলা সত্ত্বেও তা সংশোধন করেনি রেমেডি হাসপাতালের মালিকপক্ষ। যার জন্যেই বিপদে পড়েছে অগুনতি প্রাণ। যদিও চরম সংকটে হাসপাতালের ডিরেক্টরের আরজি, যা ভুল ত্রুটি আছে শুধরে নেওয়া হবে। দয়া করে কেউ অক্সিজেনটা দিন। নয়তো অনেক মানুষের মৃত্যু হবে। উল্লেখ্য, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত কাবু দেশবাশী। এরাজ্যেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। অক্সিজেনেপ অভাবও দেখা দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতেও চলছে কালোবাজারি। অনেকেই মজুত করে রাখছেন অক্সিজেন সিলিন্ডার। ফলে বাজারে হাহাকার তৈরি হচ্ছে।