অর্ণব আইচ: তহবিল বাড়াতে পুরনো আসবাব নিলামে চড়াচ্ছে লালবাজার। প্রাথমিকভাবে যাদবপুর অঞ্চলের থানাগুলোতে এই প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। তার জন্য ইতিমধ্যেই লালবাজারের কর্তারা ওই এলাকার থানার ওসি ও অন্য পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সারা কলকাতাজুড়ে কলকাতা পুলিশের প্রত্যেকটি দপ্তর ও থানায় চালু হয়েছে কিউআর কোড।
জানা গিয়েছে, থানা অথবা দপ্তরগুলোতে থাকা প্রত্যেকটি আসবাবপত্র, কম্পিউটার ও অন্যান্য বৈদ্যুতিন যন্ত্রে কিউআর কোড বসানো হয়েছে। সেই কিউ আর কোড অনুযায়ী বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে কম্পিউটারে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে আসবাবপত্র-সহ প্রত্যেকটি বস্তু। এর পরের পদক্ষেপ হিসাবে এবার যাদবপুর অঞ্চলের থানাগুলোতে সেই কিউআর কোড দেখেই আলাদা করা হচ্ছে পুরনো আসবাবপত্র। এর মধ্যে রয়েছে পুরনো বা ভাঙা চেয়ার, টেবিল, আলমারি বা কাপবোর্ড, এ ছাড়াও রয়েছে পুরনো কম্পিউটার, ওয়াটার ফিল্টার ও অন্যান্য বস্তুও। সেই বস্তুগুলোর তালিকা তৈরি করে পাঠানো হচ্ছে লালবাজারে।
[আরও পড়ুন: রাহুলের ন্যায় যাত্রায় আমন্ত্রণ সিপিএমকে, যোগদানের শর্ত দিলেন সেলিম]
এই বিষয়ে থানাগুলোর কয়েকজন পুলিশকর্মী ও আধিকারিককে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণে তাঁদের শেখানো হয়েছে, কীভাবে তাঁরা পুরনো বস্তুগুলোকে চিহ্নিত করে তার তালিকা তৈরি করবেন। সেই তালিকা সংশ্লিষ্ট ডিসি-র দপ্তরেও পাঠানো হচ্ছে। ক্রমে লালবাজারে সেই তালিকা পাঠানোর পর জিনিসগুলোকে আলাদা করা হবে। এর মধ্যে অনেকগুলোই থানার কোনও ঘর বা মালখানায় রাখা আছে। এর পর লালবাজারের পক্ষ থেকে অনলাইনে এই বস্তুগুলো নিলামে চড়ানো হবে। নিলামে যে ব্যক্তি বেশি মূল্য দেবেন, তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে ওই পুরনো বস্তুগুলো। ওই পুরনো জিনিস বিক্রি করে যে মূল্য পাওয়া যাবে, তা পাঠানো হবে কলকাতা পুলিশের তহবিলেই। যাদবপুর অঞ্চলে এই প্রক্রিয়া শুরু হলেও ক্রমে কলকাতার অন্যান্য থানা ও দপ্তরেও তা লাগু করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।