সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাজারও টানাপোড়েনের পর আত্মসমর্পণ সংসদ হামলায় মূলচক্রী ললিত ঝা। বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির কর্তব্যপথ থানায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এই নিয়ে সংসদ হামলার ঘটনায় মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের সংসদে নিয়ে এসে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করবে পুলিশ।
ললিতকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, বেশ কয়েক মাস ধরে সংসদে হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন ললিত। সংসদে হামলার পর প্রমাণ লোপাটে সহযোগীদের মোবাইল পুড়িয়ে দেয়। হামলার পর দিল্লি থেকে রাজস্থানে গিয়ে গা ঢাকা দেন ললিত। রাজস্থানের বাসিন্দা মহেশ নামে এক যুবক ললিতের বন্ধু। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন ললিত। ওই মহেশই তাঁকে রাজস্থানে হোটেল ভাড়ার বন্দোবস্ত করে দেন। বৃহস্পতিবার দিনভর হন্যে হয়ে ললিতের খোঁজখবর করে পুলিশ। সে কথা জানতে পারার পর গভীর রাতে দিল্লির কর্তব্যপথ থানায় আত্মসমর্পণ করেন ললিত। এই সমস্ত তথ্য জানার পর ললিতের বন্ধু মহেশকেও আটক করেন তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: নিজের বাড়িতে সিঁধ কেটেছিলেন ‘ডাকাত’ বউ! আগরপাড়া ডাকাতিতে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য]
প্রসঙ্গত, গত বুধবার সংসদে হইচই ফেলে দেয় দুই হানাদার। অধিবেশন চলাকালীন স্মোক বম্ব নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করে তারা। সংসদের ভিতরে ঢুকেছিলেন মাইসুরুর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া সাগর শর্মা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মাইসুরুরই আর এক বাসিন্দা মনোরঞ্জন ডি। বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা দুজনের মধ্যে একজন হরিয়ানার বাসিন্দা নীলম সিং। অপরজন মহারাষ্ট্রের অমল শিণ্ডে। ধৃতদের জেরার পাশাপাশি তাঁদের বাড়িতে গিয়েও তল্লাশি শুরু করে স্থানীয় পুলিশ ও গোয়েন্দা আধিকারিকরা। সকলের বিরুদ্ধেই কড়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বৃহস্পতিবার দিনভর একাধিক বৈঠক করেন তিনি। এদিকে, সংসদে হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৮ জন নিরাপত্তা আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সংসদ ভবনে ঢোকার পথের দায়িত্বে ছিলেন ওই ৮ জন।