সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav) ঘনিষ্ঠ সুভাষ যাদব (Subhash Yadav) গ্রেপ্তার। অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চলাকালীন উদ্ধার নগদ ২ কোটি টাকা ও বহু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র! রবিবার আর্থিক তছরুপ মামলায় অভিযুক্ত সুভাষ যাদবের গ্রেপ্তারির কথা জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি সূত্রে। বলার অপেক্ষা রাখে না লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে লালু ঘনিষ্ঠ সুভাষের গ্রেফতারি আরজেডির জন্য অস্বস্তির কারণ হতে চলেছে।
আর্থিক তছরুপ মামলার তদন্তে শনিবার সকাল থেকে ‘বালি মাফিয়া’ সুভাষ যাদবের বাড়ি-সহ ৭ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থার অভিযোগ, বিহারের একাধিক জায়গায় অবৈধ বালি খাদান চালাতেন অভিযুক্ত সুভাষ যাদব (Subhash Yadav)। তাঁর অঙ্গুলিহেলনেই চলত এই অবৈধ বালির কারবার। ‘ব্রডসন কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে একটি সংস্থা চালাতো অভিযুক্ত। এই সংস্থার আড়ালেই চলত অবৈধ বালি কারবার। সেই মামলার তদন্তে নেমেই শনিবার শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। সেখানেই উদ্ধার হয় বিপুল পরিমান নগদ টাকা। উদ্ধার হওয়া টাকা গুনতে একাধিক মেশিন নিয়ে আসে ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে, ২ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়েছে অভিযুক্তের বাড়ি থেকে। এরপর মধ্যরাতে গ্রেফতার করা হয় লালু ঘনিষ্ঠ অভিযুক্ত সুভাষ যাদবকে। গ্রেফতারির পর অভিযুক্তকে বেউর জেলে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে ইডি।
[আরও পড়ুন: দুহাজার কোটির মাদক চক্রের মাস্টারমাইন্ড তামিল প্রযোজক! NCB-র জালে অভিযুক্ত]
বিহার রাজনীতিতে লালুপ্রসাদ যাদবের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই সুভাষ। ২০১৮ সালে তাঁর বাড়ি-সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল আয়কর বিভাগ। এর পর ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে আরজেডির টিকিটে প্রার্থীও হন তিনি। যদিও নির্বাচনী লড়াইয়ে হারের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। ২০২৪ এর আগে এহেন সুভাষের গ্রেফতারি নিশ্চিতভাবে আরজেডির জন্য অস্বস্তির কারণ।
[আরও পড়ুন: এক মাসে মোহভঙ্গ! বিজেপি ছেড়ে চণ্ডীগড়ের দুই কাউন্সিলরের আপে প্রত্যাবর্তন]
উল্লেখ্য, জেডিইউ প্রধান নীতীশের ইন্ডিয়া ত্যাগের পর রাজ্যে বেশ চাপে আরজেডি। রাজ্যে শাসন ক্ষমতা হারানোর পাশাপাশি বিহারে লাগাতার চলছে এজেন্সির অভিযান। সম্প্রতি চাকরির বিনিময়ে জমি মামলায় লালুপ্রসাদ যাদবকে ১০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। এই মামলায় লালুর দিকে এজেন্সির নজর থাকলেও জামিন পেয়েছেন তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং দুই কন্যা মিসা ভারতী ও হেমা যাদব। একই সঙ্গে স্থায়ী জামিন পেয়েছেন এই মামলায় আরেক অন্যতম অভিযুক্ত হৃদ্যানন্দ চৌধুরিও। এবার বালি পাচার মামলায় ধীরে ধীরে জাল গোটানো শুরু করল কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি।