সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম দফার ট্রায়ালে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই মানুষের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াচ্ছে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ কোভিড টিকা কোভ্যাক্সিন (Covaxin)। সম্মানিত মেডিক্যাল জার্নাল ‘ল্যানসেট ইনফেকশাস ডিজিস জার্নাল’—এ (Lancet) এমন ফলাফলই প্রকাশিত হল শুক্রবার। দ্বিতীয় দফার ট্রায়ালেরও রিভিউয়ের অপেক্ষায় টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেক। ভারতীয় কোভিড টিকার (COVID vaccine) তৃতীয় দফার ট্রায়াল এখনও চলছে।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) এবং পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির (এনআইভি) সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই টিকা তৈরি করেছে হায়দরাবাদে অবস্থিত ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা ভারত বায়োটেক। টিকার তৃতীয় দফার ট্রায়াল সফলভাবে শেষ হওয়ার আগেই জরুরি ভিত্তিতে তা প্রয়োগের ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যা নিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞ প্রশ্ন তুলেছেন। নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী ভেঙ্কটরমন রামাকৃষ্ণন জানিয়েছিলেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সম্পূর্ণ তথ্য হাতে না-আসা অবধি সেই টিকা ভরসাযোগ্য নয়। টিকা নেওয়ার পর কার কী ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে, তা আন্তর্জাতিক মানের জার্নালে প্রকাশ করা প্রয়োজন। তাঁর এমন দাবির প্রেক্ষিতে ল্যানসেট জার্নালের এই রিভিউ টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাকে অনেকটা স্বস্তি দেবে। যে সব ফ্রন্টলাইন কর্মী কোভ্যাক্সিন নিচ্ছেন, তাঁদেরও চিন্তা কিছুটা লাঘব হবে।
[আরও পড়ুন: WHO-এর করোনা ভ্যাকসিন প্রকল্পে যোগদান আমেরিকার, বড় পদক্ষেপ বিডেন প্রশাসনের]
ভারতের এগারোটি হাসপাতালে ১৮ থেকে ৫৫ বছরের মানুষের উপর কোভ্যাক্সিনের প্রথম দফার ট্রায়াল করা হয়েছিল। চোদ্দো দিনের ব্যবধানে টিকার দুটো ইন্ট্রামাস্কিউলার ডোজ তাঁদের দেওয়া হয়েছিল। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে উঠে এসেছিল ক্লান্তি, জ্বর আর মাথাব্যথা। ল্যানসেট জার্নালে এমনই লেখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ভারতে কোভিড টিকাকরণ শুরু হওয়ার পরে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন যে, তৃতীয় দফার ট্রায়াল না হওয়া সত্ত্বেও কী করে জরুরিভিত্তিতে প্রয়োগের ছাড়পত্র পেল কোভ্যাক্সিন? অনেক চিকিৎসক এই টিকা নিতে চাননি বলেও খবর পাওয়া গিয়েছে। এই ভ্যাকসিন ছাড়া কোভিশিল্ডও দেওয়া হচ্ছে ভারতে।