দীপঙ্কর মণ্ডল: ফের আলোচনার শিরোনামে দেশের নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। ভাষাগত সমস্যার জেরে বহু পড়ুয়াই বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে যাচ্ছেন বলে তীব্র গুঞ্জন উঠেছে। অভিযোগ, বেশিরভাগ ক্লাসে শুধু ইংরাজিতে পড়ানো হচ্ছে। তা সহজে বুঝতে সমস্যার মুখে পড়ছেন বহু পড়ুয়া। আর সেই কারণে উৎসাহ হারিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন। যদিও এই সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যাদবপুরের রেজিস্ট্রার (Registrar) স্পষ্ট জানালেন, তাঁর কিংবা উপাচার্যের কাছে এই সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পরিকাঠামো অনুযায়ী, কেউ কোনও অসুবিধায় পড়লে অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে সমস্যার সমাধান করে দেওয়া হয়।
সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনার পাট চুকিয়েছেন মফস্বলের পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ। বিশেষত কলা বিভাগের (Arts) ক্ষেত্রে এমন একটি গুঞ্জন শোনা গিয়েছে। ক্লাসে অধ্যাপকরা পড়াচ্ছেন ইংরাজি ভাষায়। ফলে যারা যোগ্যতার ভিত্তিতে মফস্বল থেকে যাদবপুরের মতো নামী বিশ্ববিদ্যালয় ভরতি হচ্ছেন, উচ্চশিক্ষার জন্য, তারা পড়া বুঝতে অসুবিধায় পড়ছেন। ফলে ক্লাসবিমুখ হচ্ছেন। দর্শন ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপকরা তা মেনেও নিচ্ছেন। এ নিয়ে সরব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনও।
[আরও পড়ুন: ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ বেবি পাউডারে বিষ! অবশেষে গোটা বিশ্বে পণ্য বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত সংস্থার]
গোটা বিষয়টি অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (Registrar) স্নেহমঞ্জু বসু। ‘সংবাদ প্রতিদিন’কে তিনি জানান, ”কোনও অভিযোগ আসেনি এই সংক্রান্ত। আমার কাছে বা উপাচার্যর কাছে পড়ুয়াদের ভাষাগত সমস্যা নিয়ে অভিযোগ নেই। আর এই সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আমাদের পড়ুয়াদের যদি কারও পড়াশোনা বুঝতে কোনও অসুবিধা হয়, তারা পিছিয়ে পড়ে, তাহলে আমরা আলাদা ক্লাস নিয়ে সেসব সমাধান করে দিই। এছাড়া তারা কেউ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসতে চাইলে তাতেও সাহায্য করা হয়।”
[আরও পড়ুন: আগামী মাসেই ফের ইডেনে খেলবেন সৌরভ? লেজেন্ডস লিগে ভারতীয় দলের নেতৃত্বে বোর্ড প্রেসিডেন্ট]
এমনিও নানা বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদাই আলোচনার শীর্ষে থাকে। কখনও ছাত্র আন্দোলন, কখনও আবার পড়য়াদের মেধার বিচ্ছুরণে গোটা বিশ্বে বাংলার নাম উজ্জ্বল হয়েছে। আর তাতেই যাদবপুরে শিক্ষার মান নিয়ে আলোচনাও হয়। এ বছরও NIRF-এর ব়্যাঙ্কিংয়ে চতুর্থ স্থানে ছিল যাদবপুর। কিন্তু সম্প্রতি যে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠবেই।