সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৪ বছরের পালাবদল। ব্রিটেনে কনজারভেটিভ জমানা শেষ করে গঠিত হবে লেবার পার্টির সরকার। ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের নয়া বাসিন্দা হয়ে আসবেন নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার। কিন্তু এত পরিবর্তনের মধ্যেও সে যেন চিরস্থায়ী। দেশে নির্বাচনী লড়াই, রাজনৈতিক ওলটপালট- সব কিছ দেখেও তার কোনও পরিবর্তন নেই। বড়জোর হয়তো একটা হাই তুলে পাশ ফিরে আবার ঘুমিয়ে পড়ে।
কথা হচ্ছে ল্যারিকে নিয়ে। ব্রিটিশ (Britain) প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের প্রিয় মার্জার। হাজারো দায়িত্বের গুরুভার রয়েছে এই ছোট্ট চারপেয়ের উপর। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে মূষিকবাহিনীকে নিকেশ করা থেকে দেশ-বিদেশের হেভিওয়েট অতিথিদের আপ্যায়ন- সব কাজেই ডাক পড়ে ল্যারির। তাছাড়াও নিয়মিত ছবিশিকারীদের জন্য ফটোজেনিক পোজও দেয় গম্ভীর মুখে।
[আরও পড়ুন: ব্রিটিশ নির্বাচনে দাপট ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের, দল হারলেও জয়ী সুনাক]
তবে জীবনের শুরু থেকেই এত দায়িত্ব ছিল না ল্যারির কাঁধে। ২০০৭ সালে একটি হোমে তার জন্ম। বছর চারেক পরে তাকে নিয়ে আসা হয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের অত্যন্ত প্রিয় হয়ে ওঠে ল্যারি। তার পর থেকে একের পর এক ডামাডোল হয়েছে ব্রিটিশ রাজনীতিতে। ব্রেক্সিট থেকে শুরু করে কোভিড অতিমারী- বারবার বিপর্যস্ত হয়েছে ব্রিটেন। একের পর এক প্রধানমন্ত্রী মেয়াদ শেষের আগেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন, বিদায় জানাতে হয়েছে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটকে।
গত ১৪ বছরে মোট ৫ জন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে ব্রিটেন। ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সুনাকের বিদায় নিশ্চিত। অর্থাৎ নিজের কার্যকালে মোট ৬ জন প্রধানমন্ত্রীকে ডাউনিং স্ট্রিটে দেখবে বিখ্যাত মার্জার। ডুবে যাওয়া অর্থনীতি, দেশের প্রশাসনের অস্থিরতার মধ্যে ল্যারি যেন ধ্রুবতারার মতো স্থির। হাফ ডজন প্রধানমন্ত্রী পেরিয়েও মূষিকবাহিনী নিকেশে আজও অবিচল সাদা রঙের চারপেয়ে।