সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভূমিপুত্র না হলেও মিলবে ভোটাধিকার। জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ঐতিহাসিক ঘোষণার পরই হুমকি লস্কর-ই-তইবার (Laskar)। ভিনরাজ্যের বাসিন্দাদের উপরে আরও ভয়াবহ হামলার হুঁশিয়ারি দিল তারা। জঙ্গিদের (Terrorist) একটি ওয়েবসাইটে সরাসরি এই হুমকি দিয়েছে জেহাদিরা। সেই সঙ্গে তারা জানিয়ে দিয়েছে, শিগগিরি এই বিষয়ে তাদের বিস্তারিত মতলব তারা জানিয়ে দেবে এই ওয়েবসাইটেই।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার প্রদেশটির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হৃদেশ কুমার বলেন, “ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য ডোমিসাইল সার্টিফিকেট লাগবে না। জম্মু ও কাশ্মীরে কর্মরত সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ানরাও ভোটার তালিকায় নাম লেখাতে পারবেন। এছাড়া, বাইরে থেকে আসা চাকুরিজীবী, পড়ুয়ারাও ভোট দিতে পারবেন।” তিনি আরও জানান, এই নয়া সিদ্ধান্তের ফলে প্রায় ২৫ লক্ষ নতুন নাম ভোটার তালিকায় ঢুকতে চলেছে।
[আরও পড়ুন: ‘গরুচোর, গরুচোর, গরুচোর…’, হাই কোর্টে অনুব্রতকন্যাকে দেখেই চিৎকার মহিলার]
এই ঘোষণার পরই লস্করের এহেন হুমকি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সম্প্রতি উপত্যকায় কাশ্মীরি পণ্ডিত ও ভিনরাজ্যের বাসিন্দাদের উপরে হামলার বহু ঘটনা ঘটেছে। সেই উত্তেজনার মধ্যেই এবার নতুন মাত্রা যোগ করল জেহাদি গোষ্ঠীর হুমকিতে।
এদিকে এদিনের ঘোষণার পরই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতি। তাঁদের অভিযোগ, ভিনরাজ্য থেকে ভোটার আমদানি করে নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করতেই এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ওমর আবদুল্লা লেখেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের আসল ভোটারদের সমর্থন নিয়ে কি বিজেপি এতটাই অনিশ্চয়তায় ভুগছে যে সিট পেতে বাইরে থেকে ভোটার আনতে হচ্ছে? মানুষকে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিলে এই সমস্ত কোনও কিছুই বিজেপির কাজে আসবে না।”
প্রসঙ্গত, গত মে মাসেই জম্মু ও কাশ্মীরে আসন পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়া শেষ হয়েছিল। তখন থেকেই মনে করা হচ্ছিল, চলতি বছরের শেষের দিকেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। কিন্তু বিরোধীদের চাপ সত্ত্বেও এই বছর সম্ভবত নির্বাচন হচ্ছে না কেন্দ্রশাসিত এই প্রদেশে। নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের তারিখ প্রায় এক মাস পিছিয়ে দেওয়াতেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।