অভিরূপ দাস: সাতাত্তর বছর আগে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মহা তৃতীয়ায় সেই নীলরতন সরকার মেসেজ করলেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের ডেপুটি সুপার মেজর দ্বৈপায়ন বিশ্বাসকে। যিনি কিনা আবার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের (Nil Ratan Sircar Medical College and Hospital) প্রাক্তন ডেপুটি সুপার। গোটা মেসেজ জুড়ে দ্বৈপায়ন বিশ্বাসকে হেয় করা হয়েছে। প্রাক্তন ডেপুটি সুপারের কথায়, “ফেক প্রোফাইল থেকে মেসেজ করা হয়েছে। সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ জানিয়েছি।” মেসেজে লেখা হয়েছিল, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের ছাত্ররা আবার মার্শাল আর্টস শিখছে। কিন্তু সুখবর তাঁরা তোমার কাছে শিখছে না।
প্রসঙ্গত, নীলরতনে মার্শাল আর্টস শেখানো শুরু করেছিলেন দ্বৈপায়ন বিশ্বাস। ডাক্তারী ছাত্রীদের উপর হামলার ঘটনা যখন নিত্য নৈমিত্তিক তখন এই প্রতিরক্ষামূলক পাঠ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। ডেপুটি সুপার মনে করছেন তাঁর এই জনপ্রিয়তা সহ্য করতে না পেরেই তাঁকে বদলি করা হয়েছে। এদিকে ফেক প্রোফাইল থেকে পাঠানো মেসেজে আরও লেখা রয়েছে, “যদি কারও সঙ্গে আপনার সমস্যা হয় তাহলে মুখের ওপর বলুন। অন্য কাউকে বলবেন না।” প্রমাণ ছাড়া কাউকে দোষী সাব্যস্ত করতেও বারণ করেছেন নকল নীলরতন সরকার।
[আরও পড়ুন: বৃষ্টি, শপিং আর ঠাকুর দেখা, তৃতীয়াতেই ভিড় সামলাতে হিমশিম, একাধিক পদক্ষেপ পুলিশের]
সম্প্রতি এনআরএস-এ দ্বৈপায়ন বিশ্বাসের জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের ডা. শর্মিলা মৌলিক। এই বদলি নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে এই বদলির পরেই “পিছন থেকে ছুরি মারার অভিযোগ” করেছিলেন দ্বৈপায়নবাবু। প্রশ্ন উঠছে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন তাদেরই মধ্যে কেউ এই কাণ্ড ঘটিয়েছে কি? আপাতত তা জানা যাবে সাইবার ক্রাইম বিভাগের তদন্তের পরেই।