নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর (One Nation One Election) বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আরও সময়ের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ, এই কাজের জন্য একদিকে যেমন সংবিধানের বেশ কয়েকটি ধারা পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে আবার এ বিষয়ে চূড়ান্ত খসড়া তৈরির জন্য একাধিক বৈঠক ও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করছে ল’ কমিশন (Law Commission of India)।
বুধবার বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্থির সভাপতিত্বে কমিশনের বৈঠকে এক দেশ, এক নির্বাচন নিয়ে আলোচনার পরে সে বিষয়ে তাঁদের চূড়ান্ত রিপোর্টে তৈরি করে তাতে কমিশনের সুপারিশ কী তা উল্লেখ করার কথা ছিল। তবে সূত্রের খবর, এদিন সেই চূড়ান্ত রিপোর্ট ছাড়াই কমিটির বৈঠক শেষ হয়েছে। জানা গিয়েছে, তড়িঘড়ি করে নয়, সময় নিয়েই কমিশন তাদের মত জানাতে চাইছে। আগামী সপ্তাহ নাগাদ কমিশন এ বিষয়ে তাদের রিপোর্ট কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের কাছে জমা দেবে এমন সম্ভাবনা রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘মধ্যপ্রদেশে কিশোরীকে ধর্ষণ ভারতমাতার হৃদয়ে আঘাত’, বিজেপিকে তোপ রাহুুলের]
কমিশনের তরফ থেকে এক দেশ, এক নির্বাচন নিয়ে সময়ের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করা হলেও কেন্দ্র সরকার অবশ্য দ্রুতগতিতেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হতে চাইছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কমিশনের রিপোর্টের অপেক্ষা না করেই কেন্দ্র সরকার ইতিমধ্যেই এক দেশ , এক নির্বাচন নিয়ে আট সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ramnath Kovind) নেতৃত্বাধীন এই কমিটি ইতিমধ্যেই তাদের প্রথম বৈঠকও সেরে ফেলেছে। কমিটির পরবর্তী বৈঠক গুলিতে ল কমিশনকে ডাকা হতে পারে বলেই শোনা গিয়েছে।
এদিনের বৈঠকে এক দেশ, এক নির্বাচনের পাশাপাশিই পকসো আইনের অধীনে যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে সম্মতির ন্যূনতম বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ বছর করা উচিত কি না তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সূত্রের খবর, এখনই এটি করার ক্ষেত্রে অসুবিধা রয়েছে বলেই মনে করছে বলেই জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে কমিশনের মতামত সংক্রান্ত রিপোর্টও একই সঙ্গে জমা হতে পারে।
[আরও পড়ুন: মমতাকে নিশানা করে অন্যায় করছেন অধীর, ক্ষোভ শরদ পওয়ারের]
উল্লেখ্য পকসো আইনে ১৮ বছরের কম বয়সির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মেয়েদের ক্ষেত্রে, সম্মতিতে হলেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনের ধারা প্রযোজ্য। এছাড়াও বৈঠকে, অনলাইনে এফআইআর দায়ের করার বিধান নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে অবশ্য ঘরে বসেই পুলিশে অভিযোগ জানানোর সুবিধা রয়েছে। যে কোনও রাজ্য পুলিশের ওয়েবসাইটে গিয়ে ই-এফআইআর বা অনলাইন এফআইআর দায়ের করা যায়। সূত্রের খবর, কেউ যাতে এই সুবিধার অপব্যবহার না করতে পারে সে বিষয়টিকে খতিয়ে দেখছে কমিশন।