সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কখনও আত্মহত্যা, কখনও আবার হার্ট অ্যাটাক, বারবার বয়ান বদল। গ্রেপ্তারির পর লাগাতার জেরায় শেষপর্যন্ত ভেঙে পড়ল আইনজীবী রজত কুমার দে-র স্ত্রী অনিন্দিতা পাল। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, জেরায় স্বামীকে খুন করার স্বীকার করেছে অনিন্দিতা। তার বিরুদ্ধে খুন, ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ধৃতকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বারাসত আদালত।
[ সামান্য গুটখার জন্য গুলি! ৭ বছরের জেল যুবকের]
আইনজীবী রজত কুমার দে-র মৃত্যুতে তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন পরিবারের লোকেরা। ময়নাতদন্তে রিপোর্টেও শ্বাসরোধ করে মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে মৃতের স্ত্রী অনিন্দিতা পালকে জেরা করে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, বারবার বয়ান বদলে তদন্তকে ভুল পথে চালানোর চেষ্টা করছিল অনিন্দিতা। শেষপর্যন্ত বয়ানে অসঙ্গতির কারণে শনিবার তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাতভর চলে জেরা। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় আইনজীবী রজত কুমার দে-কে খুনের কথা স্বীকার করেছে তাঁর স্ত্রী। অনিন্দিতা জানিয়েছে, ঘটনার দিন রাতে রজতের সঙ্গে তুমুল ঝগড়া হয় তার। বচসা চলাকালীন বিছানার চাদরের ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেন ওই আইনজীবী।এরপরই মোবাইল চার্জারের সরু তার গলায় জড়িয়ে স্বামীকে খুন করে অনিন্দিতা। বস্তুত, মৃতদেহের গলায় সরু তারের দাগ তদন্তকারীদেরও নজরে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, রজত-অনিন্দিতার দাম্পত্য জীবন সম্ভবত সুখের ছিল না। এমনকী, অন্য কারও সঙ্গে অনিন্দিতার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
গত ২৫ নভেম্বর রাতে নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকে হাই কোর্টের আইনজীবী রজত কুমার দে-র দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছিল। কিন্তু ময়নাতদন্তের পরই তদন্তের মোড় ঘুরে যায়। ২০১৬ সালে ভালবেসে অনিন্দিতা পালকে বিয়ে করেছিলেন রজত।অনিন্দিতাও আইনের ছাত্রী, তবে ওকালতি করত না সে। কিন্তু দাম্পত্য জীবন যে সুখের ছিল না, তা ফেসবুকে অনিন্দিতার বিভিন্ন পোস্টেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। ৭ নভেম্বর ফেসবুকে অনিন্দিতা একটি পোস্ট শেয়ার করে। পোস্টে লেখা, ‘বিয়ে একটি পাবলিক টয়লেট’!
[বিজেপির রথযাত্রার থিম সং গাইবেন বাবুল সুপ্রিয়]
The post চার্জারের তারের ফাঁসে রজতকে খুন! জেরায় অপরাধ কবুল অনিন্দিতার appeared first on Sangbad Pratidin.