shono
Advertisement

সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কার পরেও লড়াই ছাড়তে নারাজ, ‘ন্যায় মিলবে’, আশাবাদী বিলকিসের আইনজীবী

ধর্ষকদের আগাম মুক্তির বিরুদ্ধে বিলকিসের আবেদন খারিজ হয়েছে গতকাল।
Posted: 02:09 PM Dec 18, 2022Updated: 02:09 PM Dec 18, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতকাল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বড় ধাক্কা খেয়েছেন বিলকিস বানো (Bilkis Bano)। ২০০২ সালে গণধর্ষণের ঘটনায় অপরাধীদের জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার বিরুদ্ধে আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই আবেদন শনিবার খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত। যদিও আদালতের এই সিদ্ধান্তকে আইনি হার বলতে নারাজ বিলকিসের স্বামী ও আইনজীবী শোভা গুপ্তা (Shobha Gupta)।

Advertisement

বিসকিসের ধর্ষণের ঘটনায় ১১ দোষী সাব্যস্তের মুক্তির রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন প্রসঙ্গে শোভা জানান, শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্ত তারা মেনে নিলেও বিষয়টিকে আইনি হার হিসেবে দেখছেন না। সংবিধান ও আদালতের উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে তাঁদের। তাঁর কথায়, “ন্যায় মিলবে। লড়াই ছাড়লে চলবে না।” বিলকিসের আইনজীবী বলেন, “এটা একটা ধাক্কা যে পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ হয়েছে। তবে আমরা এখনও আদেশনামা হাতে পাইনি। আদালতের বিস্তারিত আদেশনামা পড়ার জানতে পারব পুনর্বিবেচনার আবেদন বাতিলের সিদ্ধান্তের পিছনে ঠিক কী যুক্তি রয়েছে।” শোভা গুপ্তা বলেন, “আমরা চাই ১৩ মে, ২০২২-এর আদালতের অধ্যাদেশ সংশোধিত হোক। আদালত জানিয়েছিল, দোষীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত নেবে গুজরাট সরকার। যদিও সেই আদেশ মহারাষ্ট্রের আদালতের। অন্যদিকে অপরাধের ঘটনা ঘটেছিল গুজরাটে। এখানেই আইনি আপত্তির প্রশ্ন ওঠে।” সব মিলিয়ে লড়াই ছাড়তে নারাজ বিলকিস ও তাঁর আইনজীবী।

[আরও পড়ুন: স্ত্রীকে খুনের পর দেহ ১২ টুকরো করল স্বামী! হাড়হিম কাণ্ড ঝাড়খণ্ডে]

২০০২ সালে গোধরা হিংসার সময়ে অন্ত্বসত্ত্বা বিলকিসকে গণধর্ষণ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুনের অভিযোগে ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু গত ১৫ আগস্ট গুজরাট সরকারের নির্দেশে ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া হয়। ধর্ষকদের কার্যত বীরের সম্মান দিয়ে বরণ করা হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে। তারপরেই দেশজুড়ে অসন্তোষের হাওয়া বইতে শুরু করে। গুজরাট সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিলকিস বানো ও তাঁর আইনজীবী শোভা গুপ্তা। যদিও বিলকিসের আরজি খারিজ করেছে আদালত।

জানা গিয়েছে, ১৯৯২ সালের সাজা মকুব করার নিয়মের আওতায় ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। চলতি বছরের মে মাসের সেই সিদ্ধান্তের জেরেই আগস্ট মাসে ১১ জন ধর্ষকদের মুক্তি দেয় গুজরাট সরকার। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আরজি জানিয়ে আবেদন করেন বিলকিস (Bilkis Bano)। তবে বিলকিস একা নন, সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য একাধিক আবেদন জমা পড়েছিল শীর্ষ আদালতে। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও একই আবেদন জানিয়েছিলেন। যদিও সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন বিলকিস।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement