সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনীতির আঙিনায় জনপ্রিয় হয়েছিল ‘খেলা হবে’। জনপ্রিয় সেই শব্দবন্ধ রাজনীতির ময়দান ছাড়িয়ে বঙ্গ জীবনেও ঢুকে পড়েছে। এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের এজলাসে উচ্চারিত হল ‘খেলা হবে’। গ্রুপ সি’র চাকরিহারাদের দায়ের করা মামলা চলাকালীন তাঁদের আইনজীবী এই শব্দবন্ধ উচ্চারণ করলেন। তবে তাঁকে ভর্ৎসনা করে শব্দবন্ধ বাদ দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার।
চাকরিহারাদের দাবি, শুধু তাঁদের বিরুদ্ধে নয়, এসএসসি-মধ্যশিক্ষা পর্ষদ- জেলা স্কুল পরিদর্শকের বিরুদ্ধেও তদন্ত হোক। তাঁদের দাবি তুলে ধরতে গিয়ে আদালতে চাকরিহারাদের সওয়াল, “আমরা স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশপত্র, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়োগপত্র এবং জেলা স্কুল পরিদর্শকের অনুমোদন নিয়ে কাজে যোগদান করেছিলাম। এই তিন সংস্থার ভূমিকা কেন খতিয়ে দেখা হবে না?” এরপরই তাঁর সংযোজন, “তারপর Game is On, খেলা হবে।” আইনজীবীর মুখে খেলা হবে শুনে ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। ওই শব্দবন্ধ বাতিলের নির্দেশ দেন তিনি। আদালতের পরামর্শে ‘খেলা হবে’ শব্দবন্ধ প্রত্যাহার করেন আইনজীবী।
[আরও পড়ুন: শপথের পর বায়রনকে পদ্মের ফুল! ফের উঠছে আঁতাঁতের অভিযোগ]
মূল্যায়নকারী সংস্থা NYSA-র ভূমিকা ও ওএমআর শিটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন চাকরিহারারা। তাঁদের সওয়াল, উত্তরপ্রদেশ সরকারও NYSA-কে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল। এদিকে ওএমআর শিটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নিজের কম্পিউটার থেকে OMR শিটের সাক্ষর পরিবর্তন করে এনে আদালতে পেশ করলেন চাকরিহারাদের আইনজীবী। যদিও সিবিআইয়ের পালটা দাবি, OMR শিট বিকৃত, এরকম ভাবার কোনও কারণ নেই। এটা শুধুমাত্র স্ক্যান কপি নয়, এর একটা জটিল প্রযুক্তিগত দিক রয়েছে। কমিশনের আইনজীবীর দাবি, “আমরা OMR শিট পরীক্ষা করে দেখেছি। তারপরেই আমরা সুপারিশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” আদালতে সিবিআই আরও জানায়, “আর্থিক দুর্নীতির দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে, মাথা পর্যন্ত পৌঁছতে সময় লাগছে, খুব তাড়াতাড়ি মাথার সন্ধান পাওয়া যাবে বলে আমরা আশাবাদী।”
তবু কাউন্সেলিং আটকাতে চাকরিহারাদের আইনজীবীর মরিয়া সওয়াল, “এই নিয়োগপ্রক্রিয়া বর্তমানে ফসিলে পরিণত হয়েছে, সেই প্যানেল থেকে আবারও নিয়োগ করা যায় না।” বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের পালটা বলেন ,”ফসিল না, মিশরীয় ফসিল।”