সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিহত তালিবানের (Taliban) সুপ্রিম লিডার হায়বাতোল্লা আখুন্দজাদা! পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মঘাতী হামলায় মৃত্যু হয়েছে তার। দীর্ঘ জল্পনা শেষে এমনটাই জানিয়েছে তালিবানের প্রবীণ তালিবান নেতা আমির আল মুমিনিন।
[আরও পড়ুন: শুক্রবারের নমাজের সময়ই আফগানিস্তানের মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা]
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তালিবান নেতা মুমিনিন জানিয়েছে, “পাকিস্তানি বাহিনীর কষা ছকেই একটি আত্মঘাতী হামলায় গত বছর শহিদ হয়েছে হায়বাতুল্লা আখুন্দজাদা।” গত আগস্ট মাসে কাবুল দখল করে তালিবান। কিন্তু তারপরও আখুন্দজাদাকে জনসমক্ষে আসতে দেখা যায়নি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাকে নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। শোনা গিয়েছিল, পাক বাহিনীর হেফাজতে রয়েছে সে। কিছু সূত্র দাবি করেছিল, পাক বাহিনীর হাতেই তার মৃত্যু হয়েছে। এ বার সেই তত্ত্বকেই মান্যতা দিল তালিবান। বিশ্লেষকদের মতে, আখুন্দজাদাকে সরিয়ে দিয়ে এবার তালিবানের রাশ ধরতে চলেছে হাক্কানি নেটওয়ার্ক।
নব্বইয়ের দশকে আফগানিস্তানের (Afghanistan) ক্ষমতা দখল করে তালিবান। তখন হায়বাতুল্লাকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তার উপর ভার পড়েছিল অপরাধ দমনের। ২০০১-এ টুইন টাওয়ার হামলার পর আমেরিকা যখন কাবুল থেকে তালিবানকে উচ্ছেদ করে,তখন আখুন্দজাদাকে তালিবান পরিষদের প্রধান করা হয়। ২০১৫-য় তালিবান প্রধান মোল্লা আখতার মনসুর তার সহকারী হিসেবে নিযুক্ত করে হায়বাতোল্লাকে। ২০১৬-য় মার্কিন ড্রোন হামলায় মনসুর নিহত হওয়ার পর তালিবানের রাশ ধরে হাইবাতুল্লা। তবে আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানির সঙ্গে ‘বোঝাপড়া’ ও আমেরিকার সঙ্গে ‘শর্তসাপেক্ষ আলোচনা’ চালানোর জন্য তাকে ২০১৮ সালে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তান।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে পাক মদতপুষ্ট হাক্কানি নেটওয়ার্ক বনাম আখুন্দজাদা গোষ্ঠীর সংঘাত সময়ের সঙ্গে বেড়েছে। এবার তালিবানের অন্দরে চলা এই কলহ নতুন মাত্রা লাভ করেছে। কয়েকদিন আগেই নিজস্ব রক্ষীবাহিনী নিয়ে কাবুলে ফিরেছে তালিবানের অন্যতম শীর্ষনেতা মোল্লা আবদুল ঘানি বরাদর। সূত্রের খবর, কাবুলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা হাক্কানি গোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিতে অস্বীকার করেছে সে।