shono
Advertisement

আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনাই হয়নি, মরুরাজ্যে ভোটযুদ্ধে আলাদা লড়াইয়ে বাম-কংগ্রেস!

২০১৮ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের সমঝোতা হয়নি রাজস্থানে।
Posted: 09:01 AM Oct 10, 2023Updated: 09:09 AM Oct 10, 2023

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজস্থানের (Rajasthan) ভোট ঘোষণা হয়ে গেলেও সিপিএমকে এখনও কোনও আসন ছাড়েনি কংগ্রেস। তাদের সঙ্গে সমঝোতা বিষয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি। তবে কি INDIA জোটের ফর্মুলা দূরে ঠেলে মরুরাজ্যে আলাদাই লড়বে বাম-কংগ্রেস? উঠছে এই প্রশ্ন।

Advertisement

২৩ নভেম্বর হবে রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচন। ভোটের আর দেড় মাসও বাকি নেই। আসন সমঝোতা নিয়ে কংগ্রেসের তরফে কোনও আগ্রহই দেখানো হয়নি। গালে হাত দিয়ে বসে আছেন রাজস্থানের সিপিএম (CPM) নেতারা। যদিও সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কংগ্রেস হাইকমান্ডের সঙ্গে কথা বলে চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে খবর। সিপিএমের রাজস্থান রাজ‌্য কমিটির সম্পাদক তথা অমরা রাম জানালেন, ‘‘আসন সমঝোতা নিয়ে কংগ্রেস কোনও কথা বলেনি। সমঝোতা না হলে আমরা বাম দলগুলি মিলে আলাদাই লড়ব।’’

[আরও পড়ুন: গভীর রাতে গঙ্গার ঘাটে আত্মহত্যার চেষ্টা ইঞ্জিনিয়ারের, প্রাণ বাঁচাল ‘ডায়াল ১০০’]

কৃষকসভার সর্বভারতীয় নেতা অমরা রাম ১৯৯৩ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিধায়ক ছিলেন। সূত্রের খবর, পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা চালালেও রাজস্থানের সিপিএম নেতারা অবশ‌্য এবারও একলা লড়াইয়ের পক্ষেই। গতবার কংগ্রেস ও বামেদের ভোট কাটাকাটির ফায়দা একাধিক আসনে তুলেছিল বিজেপি। গতবার অমরা রাম, পেমা রাম, এই দুই সিপিএম নেতা পরাজিত হয়েছিলেন। বর্তমানে রাজস্থান বিধানসভায় সিপিএমের দু’জন বিধায়ক (MLA) রয়েছেন। হনুমানগড় জেলা থেকে বলবান পুনিয়া ও বিকানের জেলা থেকে গিরিধারী লাল। হনুমানগড়ের বাদরা ও বিকানের জেলার ডুমরগঞ্জ আসন দু’টি সিপিএমের দখলে রয়েছে। জাতীয় স্তরে বিজেপিকে রুখতে INDIA জোট হয়েছে। সেই জোটে কংগ্রেস-তৃণমূল-সহ অন‌্যান‌্য বিজেপি বিরোধী দলগুলির সঙ্গে সিপিএমও রয়েছে। কিন্তু সিপিএমের সিদ্ধান্ত জাতীয় স্তরে জোট হলেও রাজ্যের পরিস্থিতি অনুযায়ী লড়াই হবে।

[আরও পড়ুন: ৫০০ বছরে উদ্ধার হয়েছে রাম জন্মভূমি, এবার সিন্ধ ফেরানোর দাবি যোগীর]

পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) অন্ধ তৃণমূল বিরোধিতা করতে গিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে লড়ছে সিপিএম। যদি বাংলায় বাম-কংগ্রেস জোট একাধিক নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে। আবার কেরলে কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই সিপিএমের। ফলে সিপিএমের এই দ্বিমুখী নীতির জন‌্য বিজেপিরই সুবিধা হচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আবার রাজস্থানে এবার বিধানসভা নির্বাচনে আলাদাভাবেই লড়বে সিপিএম এবং কংগ্রেস (Congress)।

রাজস্থান বিধানসভায় (Assembly Seats) মোট ২০০টি আসন রয়েছে। সেখানে কৃষক আন্দোলনকে ঘিরেই কয়েকটা জায়গায় সিপিএমের সংগঠন শক্তিশালী হয়েছে। শুষ্ক জমিতে জলের দাবি, ন‌্যায‌্য ফসলের দাম, এইসব ইস্যুকে সামনে রেখে সিপিএম সাংগঠনিকভাবে সুবিধা পেয়েছে। এর আগে সিপিএমের চারজন বিধায়ক থাকলেও গতবার দু’জন জিতেছিলেন। গত সেপ্টেম্বরে পলিটব্যুরো বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে, তেলেঙ্গানা ও রাজস্থানে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে যে ক’টি আসন পাওয়া যায়। ২০১৮ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের সমঝোতা হয়নি রাজস্থানে। সিপিএম নেতৃত্বের কথায়, ”আমরা চেয়েছিলাম। সমঝোতা হলে আরও বেশি আসন আসতে পারত।” যেহেতু রাজস্থানে কংগ্রেস শক্তিশালী, তাই সিপিএমকে কোনও আসন ছাড়েনি তারা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement