বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসে জট ছাড়াতে ব্যর্থ হল জোট শিবির। বামেদের সঙ্গে সমাধান হলেও আসন ভাগাভাগি নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে জটিলতা রয়ে গেল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (Indian Secular Front)। গতবার জেতা আসন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে ছাড়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। ত্রিপাক্ষিক বৈঠক শেষের আগেই জানিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান (Abdul Mannan)। তবে আবার তিন পক্ষ বৈঠক করবে বলে জানান তিনি।
ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা আব্বাসউদ্দিন সিদ্দিকির (Abbas Siddique) নয়া দলের সঙ্গে বুধবার রাতে আলিমুদ্দিনে বৈঠকে বসে সিপিএম ও কংগ্রেস। জেলা ধরে ধরে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে কথা না শেষ করেই বৈঠক ছেড়ে চলে যান কংগ্রেসের মান্নান ও প্রদীপ ভট্টাচার্য। উত্তরবঙ্গ ও মুর্শিদাবাদ নিয়ে যে কোনও আলোচনা হয়নি তাও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। আজ ফের সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে তা হবে ফোনালাপের মাধ্যমে।
[আরও পড়ুন: স্থিতিশীল জাকির হোসেন, মন্ত্রীর উপর হামলার নিন্দায় সরব কংগ্রেস-বিজেপি]
বুধবার গভীর রাতে বৈঠক শেষে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের তরফে আব্বাসের ভাই নওসাদ সিদ্দিকি জানিয়ে দেন, “বামেদর সঙ্গে ৮০% সমঝোতা হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেসের সঙ্গে কাল (বৃহস্পতিবার) আলোচনা হবে। আমরা তালিকা দিয়েছি ওঁরা নিজেদের মধ্যে কথা বলে জানাবেন।” নওসাদের কথায়, “আমরা জানি আমাদের ১০০ শতাংশ দাবিই পুরণ হবে না। কিন্তু ৩০শতাংশ হলেই বা কী করে হবে?” জোটের ভবিষ্যৎ যে কংগ্রেসের উত্তরের উপরই নির্ভর করছে, সেটাও স্পষ্ট করে দেন ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা। সূত্রের খবর, দক্ষিণবঙ্গের আসনগুলি নিয়ে নমনীয় হলেও, উত্তরবঙ্গে বিশেষ করে মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে আব্বাসকে কোনও আসন ছাড়তে রাজি নয় কংগ্রেস। অথচ, এই জেলাগুলিতেই বেশি বেশি আসন দাবি করে বসে আছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট।
[আরও পড়ুন: নিমতিতা স্টেশনে রাজ্যের মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি, রক্তাক্ত জাকির হোসেন]
অন্যদিকে, কংগ্রেসের সঙ্গে আসনরফা নিয়ে আরএসপির (RSP) সঙ্গে জটিলতা কাটাতে এদিন রাতে সিপিএমের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করে আরএসপি নেতৃত্ব। মূলত মুর্শিদাবাদেই কয়েকটি আসন নিয়ে এই জটিলতা। কীভাবে এই জটিলতা কাটানো সম্ভব তা নিয়েই বৈঠক বলে আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর।