বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: বামফ্রন্টে আছি মোর্চায় নেই। শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের দাবি কার্যত ঠান্ডা ঘরে পাঠিয়ে দিল আলিমুদ্দিন। মঙ্গলবার ফ্রন্টের বৈঠকে বিষয়টি তোলা হলেও পরে আলোচনা হবে বলে ধামাচাপা দেয় সিপিএম। সঙ্গে ভোটের আগে কথায় কথায় যে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হত জোট নেতৃত্ব সেই জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) বিরুদ্ধে সুর সপ্তমে তোলার সিদ্ধান্ত নিল বাম নেতৃত্ব। রাজ্যপাল সংবিধান বিরোধী কাজ করছেন বলে অভিযোগ তাঁদের।
ভোটে বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানে বসে বামফ্রন্টের দুই শরিক সিপিএম ও ফরওয়ার্ড ব্লকের (Forward Block) মধ্যে সম্পর্কের তিক্ততার সূত্রপাত। কার্যত মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে যায়। বামফ্রন্ট ভেঙে দেওয়ার দাবিও ওঠে। পরে ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু চিঠি দিয়ে শরিক নেতৃত্বের রাগ প্রশমিত করেন। তখনই বামফ্রন্টে আছি। মোর্চায় নেই বলে ফ্রন্ট চেয়ারম্যানকে জানিয়ে দেয় নেতাজির দল। তারপরেই এদিন বৈঠকে বসে পরে দলীয়ভাবে ভোটে পর্যালোচনা শেষ হওয়ার পর জোট ইস্যুতে আলোচনা হবে বলে শরিকদের মুখ বন্ধ করে দেয় সিপিএম নেতৃত্ব। আলোচনা করে ঠিক হয়, ভোটে বিপর্যয়ের পর চুপ করে বসে থাকলে রাজ্য রাজনীতিতে আরও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে বামেরা। তাই এখনই রাস্তায় নামার সিদ্ধান্ত হয় বামফ্রন্টের (Left Front) বৈঠকে। ২৪ জুন থেকে পনেরোদিন মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখানো হবে বলে জানিয়েছেন আরএসপির সাধারণ সম্পাদক মনোজ ভট্টাচার্য।
[আরও পড়ুন: দলত্যাগীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হোক, তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়ে সরব সিপিএমও]
ভোটের (Assembly Election 2021) আগে বামফ্রন্টের বাইরে থাকা অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে আলিমুদ্দিন। কেন্দ্র ও রাজ্য বিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সেই সম্পর্ক জোড়া লাগানোর কাজ করা হবে। তাঁদেরকেও আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আবেদন করা হবে। তবে কংগ্রেস বা ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টকে ডাকা হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান গিয়েছে। সেইসঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় যেভাবে প্রতিদিন নিয়ম করে রাজ্যের বিরুদ্ধে কথা বলছেন বা পদক্ষেপ করছেন তা সাংবিধানিক প্রধান হয়ে করা যায় না। বামেদের পক্ষ থেকে তারও প্রতিবাদ করা হবে বলে জানান তিনি।