বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: বিজেপি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পুরভোট (West Bengal Civic Polls) করানোর দাবি জানালেও তার সঙ্গে একমত নয় বামেরা। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সুষ্ঠু ভোট না চাইলে কোনও বাহিনী দিয়েই ভোট করে লাভ নেই বলে মনে করছে আলিমুদ্দিন। আবার ডিসেম্বরে পুরভোট হচ্ছে ধরে নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বামেরা। আগামীকাল থেকে দিল্লিতে বসছে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক। তারপরে বামফ্রন্টের বৈঠক ডেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে বলে আলিমুদ্দিন (Alimuddin Street) সূত্রে খবর।
গতকালই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর পক্ষে সওয়াল করেছে গেরুয়া শিবির (BJP)। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central force) ওপর থেকেও যে বামেরা আস্থা হারাচ্ছে বাম নেতৃত্বের বক্তব্যেই তা স্পষ্ট। অনেকক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় বাহিনী সুষ্ঠ ভোটের পক্ষে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বলে অভিযোগ সিপিএম (CPIM) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। উদাহরণ হিসাবে শীতলকুচির প্রসঙ্গে টেনে আনেন। জানান, শীতলকুচির ঘটনার পর রাজ্যের মানুষ আতঙ্কিত হয়। তার প্রভাব পরে ভোটবাক্সে। এক অংশের মানুষকে আতঙ্কিত করতেই পরিকল্পিত করে শীতলকুচির ঘটনা ঘটনো হয়েছিল বলে অভিযোগ সুজনের। আগের পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেও রাজ্য তাঁদের বসিয়ে রেখে ভোট করেছিল। ফলে সুষ্ঠুভাবে ভোট করা হবে কিনা আগে সরকারকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বামেরা।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই করাতে হবে পুরভোট, দাবি বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের]
আবার উপনির্বাচনের পরই পুরভোটের দামামা বাজতে পারে বলে মনে করছে আলিমুদ্দিন। তাই উপনির্বাচনের পরই বামফ্রন্টের বৈঠকে প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হবে বলে সুত্রের খবর। বিধানসভা ও লোকসভায় শূন্য হয়ে গেলেও রাজ্যের সবকটি পুরসভা ও কর্পোরেশন আসনে প্রার্থী দেওয়া যাবে বলে নিশ্চিত বাম নেতৃত্ব। তবে প্রার্থীদের মধ্যে জেতার আগ্রহ কতখানি থাকবে তা নিয়ে সন্দিহান আলিমুদ্দিন।
[আরও পড়ুন: সব্যসাচী দত্তের বাড়ির লক্ষ্মীপুজোয় হাজির বিজেপি নেত্রী অঞ্জনা বসু, তুঙ্গে দলবদলের জল্পনা]
বস্তুত, কলকাতা নগরনিগম-সহ রাজ্যের ১১২টি পুরসভায় ২০২০ সাল থেকে নির্বাচন বকেয়া পড়ে রয়েছে। করোনার জেরে ২০২০ সালে এই নির্বাচনগুলি করানো যায়নি। তবে সূত্রের খবর, বকেয়া পুরনির্বাচন দু’টি বা তিনটি ধাপে সম্পূর্ণ করতে চাইছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (EC)। সূত্রের খবর, কলকাতা ও হাওড়া, দুই নগরনিগমের ভোট প্রথম পর্যায়ে এবং ১১০টি পুরসভার নির্বাচন পৃথকদিনে একাধিক পর্যায়ে হওয়ার সম্ভাবনা। নবান্নের সবুজ সংকেত পেলে পুলিশ ও প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে দক্ষিণবঙ্গে দ্বিতীয় ধাপে এবং উত্তরবঙ্গের পুরসভাগুলিতে তৃতীয় পর্যায়ে ভোটগ্রহণ করার পথে যাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।