সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাগরিকপঞ্জি ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য বিধানসভা৷ একযোগে সরব কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের বিধায়করা৷ রাজ্য বিধানসভার পাশাপাশি রাজ্যসভায় নাগরিকপঞ্জি ইস্যুতে প্রধামন্ত্রীর বিবৃতির দাবিও জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়৷ এই একই ইস্যুতে লোকসভায় কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন সাংসদ মহম্মদ সেলিম৷ নবান্নে দাঁড়িয়েও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ নাগরিকপঞ্জি ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশও করেছেন তিনি৷ রাজ্যের ঘাড়ে চলে আসা অযাচিত বিপদ এড়াতে ইতিমধ্যেই বাংলা-অসম সীমান্তে কড়া সতর্কতা জারি হয়েছে৷ শুরু হয়েছে নাকাতল্লাশি৷
[দিল্লি যাওয়ার পথে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে বিভ্রাট, বিরক্ত তৃণমূল সাংসদরা]
মঙ্গলবার সকালে ৪০ লক্ষ মানুষকে অনিশ্চিত জীবনে ফেলে দিয়ে নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত খসড়া পেশ করেছে অসম প্রশাসন৷ ৪০ লক্ষ মানুষের স্বার্থে সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এই একই ইস্যুতে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনের শেষ দিনেও আলোচনার দাবিও তুলেছে বামেরা৷ তবে, বিরোধীদের তরফে আলোচনার দাবি জানানো হলেও সরকার তা মান্যতা দেয়নি বলে বিধানসভা সূত্রে খবর৷ কারণ, ওই দিনই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ হওয়ার কথা৷ ফলে, প্রথমে বিলগুলি নিয়ে আলোচনার পর নাগরিকপঞ্জি ইস্যু উত্থাপন হতে পারে বলে জানিয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ বিরোধীদের তরফে সর্বদল বৈঠকের প্রস্তাবের বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে বলেও জানিয়েছেন ফিরহাদ৷ নাগরিকপঞ্জি ইস্যুতে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিশেষ প্রতিনিধি দল অসম যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷ প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবি জানিয়ে সংসদে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা৷
[নাগরিকপঞ্জির নামে চলছে ‘বাঙালি খেদাও’, অসম ইস্যুতে কেন্দ্রকে তোপ মমতার]
অন্যদিকে, রাজ্যে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে বাংলা-অসম সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে৷ চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে কোচবিহার-অসম সীমান্তে বাড়তি নিরাপত্তা মোতায়েন করেছে জেলা প্রশাসন৷ বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা৷ গাড়ি আটকে চলছে তল্লাশি৷ আলিপুরদুয়ারেও চলছে নাকাতল্লাশি৷ যেকোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আলিপুরদুয়ারেও বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা৷