সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিওয়াইএফআই (DYFI) কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্দার মৃত্যু তদন্তের দাবিতে এবার বৃহত্তর আন্দোলনের পথে বাম ছাত্র-যুব নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, আগামী ১৭ তারিখ থানা ঘেরাও কর্মসূচি রয়েছে তাঁদের। ১৮ তারিখ রেল অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে এসএফআইয়ের তরফে। পাশাপাশি কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে বাম নেতৃত্ব। এদিকে, মইদুলের মৃত্যুর প্রতিবাদে সোমবার মৌলালির সামনে বাম ছাত্র-যুবদের বিক্ষোভ থেকে পুলিশকে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে কয়েকজন নেতা-সহ ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে কলকাতা পুলিশ। সূত্রের খবর, এই তালিকায় রয়েছে এসএফআই (SFI) রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি পুলিশকে মারার অভিযোগ রয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৩, ৩২৪, ৩৩২ ধারা অর্থাৎ সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়া, নিগ্রহের মতো অভিযোগে এই মামলা।
১১ ফেব্রুয়ারি সকলের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যের অধিকার, চাকরির প্রতিশ্রুতি-সহ একাধিক দাবিতে নবান্ন অভিযান চালায় বাম ছাত্র-যুব নেতৃত্ব। পুলিশ তাতে বাধা দিতে গেলে ধর্মতলা চত্বরে দু’পক্ষ জড়ায় হাতাহাতিতে। পুলিশের লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস, জলকামানে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। লাঠিচার্জের জেরে আহত হন বেশ কয়েকজন। তারই মধ্যে বাঁকুড়ার ডিওয়াইএফআই কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্দার মৃত্যু হয় সোমবার সকালে, কলকাতার নার্সিংহোমে। এরপর বিক্ষোভের আগুনে কার্যত ঘি পড়ে। বামেদের অভিযোগ, পুলিশের লাঠির ঘায়ে গুরুতর জখম হয়ে মৃত্যু হয়েছে মইদুলের। এটা পরিকল্পিত খুন।
[আরও পড়ুন: কলকাতার বুকে বেনজির প্রতিবাদ, আদিগঙ্গায় নেমে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির উদ্দেশে রওনা শিক্ষামিত্রদের]
সোমবার বেলা গড়াতেই কলকাতার রাজপথে নেমে ফের বিক্ষোভে শামিল হন বাম ছাত্র, যুব নেতারা। মৌলালির কাছে পুলিশ তাঁদের বাধা দিলে পুলিশের উপর পালটা মারধরের অভিযোগ ওঠে এসএফআই, ডিওয়াইএফআই নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারের চোটে এক পুলিশ কর্মী রেস্তরাঁয় আশ্রয় নেন। পরে তাঁকে নিরাপদে বের করে আনা হয়। এরপরই তা নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এদিকে, নবান্ন অভিযানে মৃত মইদুলের শেষকৃত্য হবে আজ, বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বাড়িতে। আরেক অভিযানকারী পাঁশকুড়ার এক ছাত্রনেতা এখনও নিখোঁজ। তাঁর খোঁজ পেতে মরিয়া পরিবার।