সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বামপন্থী বিচারধারা ভয়ংকর। ক্ষতিকর। দাবি আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat)। তাঁর কথায়, “স্কুলের শিশুদের তাদের গোপনাঙ্গের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হত। এটা বামপন্থী মানসিকতা। এমন বিচারধারার মানুষদের মনে হয় তারা সর্বশক্তিমান। বামপন্থীরা নিজেদের ভগবান মনে করেন। নিজেদের বৈজ্ঞানিক ভাবেন। আসলে তা নয়।”
রবিবার পুণেতে একটি মারাঠি পুস্তক প্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মোহন ভাগবত। সেখানে তিনি বলেন, “আমি গুজরাটের একটি স্কুলে গিয়েছিলাম। কিন্ডারগার্টেন স্কুলের একটি নির্দেশিকা আমার চোখে পড়ে। কেজি-টু ক্লাসের পড়ুয়ারা নিজেদের গোপনাঙ্গ সম্পর্কে কতটা ওয়াকিবহাল তা জানার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাকে যাচাই করে দেখতে বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। ভেবে দেখুন বামপন্থী সিস্টেম কতদূর পর্যন্ত সমাজে হামলা চালিয়েছে। বামপন্থীরা গোটা বিশ্বে সর্বনাশ ডেকে এনেছে। ভারতই পারে বিশ্বকে এই সংকট থেকে মুক্ত করতে।”
[আরও পড়ুন: খলিস্তানি বিতর্ক: কানাডার সমালোচনায় মোদি সরকারের পাশে কংগ্রেস]
আরএসএস (RSS) প্রধান আরও বলেন, “বামপন্থীরা দুনিয়াজুড়ে সাংস্কৃতিক মার্কসবাদ ছড়িয়ে দিচ্ছে। এটা আমাদের সংস্কৃতির উপর হামলা। বামপন্থা, মার্কসবাদের নাম করে ওরা ভুল আদর্শ এবং সিদ্ধান্তের প্রচার করে চলেছে। যা সমাজের ক্ষতি করছে। এটা শুধু সমাজের নয় আমাদের পরিবারকেও প্রভাবিত করছে। সমাজের একজন সদস্য হিসাবে আমাদের এই বিষয়গুলি নিয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। দুনিয়াকে এই সংকট থেকে মুক্ত করার দায়িত্ব ভারতের।”
ওই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত ছিলেন দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তিশ্রী পণ্ডিত। তাঁকে বলতে শোনা যায়, হিন্দু হিসাবে গর্ববোধ করি। আরএসএসের সঙ্গে রয়েছি এতেও গর্ববোধ হয়। কারণ অতি বামেদের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে এটা দরকার। সাাবিত্রীবাই ফুলে পুণে বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁকে কীভাবে ঝামেলায় পড়তে হয়েছিল সেকথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “নানা সমস্যার মধ্যে আমি মুখোমুখি হয়েছিলাম। আমি বলতে পারি জেএনইউর থেকেও বেশি বাম মনোভাবাপন্ন ছেলে মেয়েরা রয়েছে পুণে বিশ্ববিদ্যালয়ে। পুণেতে এটা বাইরে থেকে বোঝা যায় না।” এর আগে তিনি পুণেতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপিকা ছিলেন। পরে তিনি প্রথম জেএনইউ-এর উপাচার্য হন।