সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গান স্যালুটে কিংবদন্তিকে জানানো হল বিদায়। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে পূর্ণ মর্যাদায় সম্পন্ন হল সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের (Soumitra Chatterjee) শেষকৃত্য। চোখের জলে বাংলার শেষ ম্যাটিনি আইডলকে বিদায় জানালেন অসংখ্য অনুরাগী।
‘অশনি সংকেত’ আগেই মিলেছিল। শনিবার থেকেই সম্পূর্ণ লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল কিংবদন্তি অভিনেতাকে। রবিবার বেলা ১২.১৫ মিনিট নাগাদ বেলভিউ হাসপাতালের তরফে ঘোষণা করা হয়, শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। নিজের কমরেড, নিজের সহযোদ্ধাকে হারিয়ে শোকাতুর হয়েও সৌমিত্রকন্যা পৌলমী বসু বলেন, “কষ্ট পাবেন না। বাবাকে আদর্শ মেনেই আমরা জীবনকে সেলিব্রেট করব।” পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, “সারা বিশ্ব চলচ্চিত্র জগতের মহান প্রতিভাবান বরণীয় স্মরণীয় মানুষকে হারাল।” টুইটারে শোকজ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।
[আরও পড়ুন: কীভাবে রায় পরিবারের অঙ্গ হয়ে উঠেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়? স্মৃতিচারণায় সন্দীপ রায়]
বেলা আড়াইটে নাগাদ বেলভিউ থেকে শববাহী যানে করে অভিনেতার দেহ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর গল্ফগ্রিনের বাড়িতে। সেখানে কিছুক্ষণ রাখার পর বেলা তিনটে নাগাদ টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে নিয়ে যাওয়া হয় প্রবাদপ্রতীম শিল্পীর দেহ। শ্রদ্ধা জানান স্টুডিও পাড়ার অভিনেতা-অভিনেত্রী, টেকনিশিয়ানরা। দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ রবীন্দ্রসদনে নিয়ে যাওয়া হয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের দেহ। সেখানে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান বিশিষ্টরা। এরপরই কেওড়াতলা মহাশ্মশানের উদ্দেশে শুরু হয় পদযাত্রা। অভিনেতা, অভিনেত্রী, রাজনীতিবিদ, প্রশাসনিক কর্তারা ছাড়াও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্তিম যাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন তাঁর অসংখ্য অনুরাগী। পদযাত্রার প্রতিটি পদে রবীন্দ্রসংগীত ও কবিতায় তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। কখনও বাজানো হয় ‘আগুনের পরশমণি’ গান, কখনও তাঁর লেখা কবিতা পাঠ করলেন কৌশিক সেনের মতো অভিনেতা। এভাবেই কেওড়াতলা মহাশ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের নিথর দেহ। সেখানে শ্রদ্ধা জানান প্রত্যেকে। তারপর দেওয়া হয় গান স্যালুট। পূর্ণ মর্যাদায় সম্পন্ন হয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শেষকৃত্য।