সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জোর করে ও ভুল বুঝিয়ে ধর্মান্তকরণ রুখতে নতুন আইনের প্রয়োজন রয়েছে। সমাজের ‘দুর্বল’ অংশকে বাঁচাতেই এই পদক্ষেপ জরুরি বলে বুধবার শীর্ষ আদালতে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার আদালতে আর্থিক ও সামাজিক ভাবে পিছিয়ে পড়াদের সুরক্ষার প্রসঙ্গও তুলে ধরে কেন্দ্র।
এদিন সরকারের তরফে দায়ের করা হলফনামায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, “ধর্মীয় স্বাধীনতা মানে কাউকে জোর করে বা প্রতারণা করে ধর্মান্তরিত করা নয়।” শীর্ষ আদালতে মোদি সরকার জানিয়েছে, সমাজের দুর্বল অংশের সুরক্ষার জন্যই ধর্মান্তর রুখতে আইন প্রয়োজন। বিশেষ করে যাঁরা আর্থিক ও সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়েছে তাঁদের টার্গেট করা হচ্ছে। জোর করে ও ভুল বুঝিয়ে ধর্মান্তকরণের ফাঁদে ফেলা হচ্ছে মহিলাদের।
[আরও পড়ুন: দিল্লির রাস্তায় শ্রদ্ধার খুনি আফতাবের উপর তরোয়াল নিয়ে হামলা হিন্দু সেনার]
উল্লেখ্য, অদিন আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়ের আরজির ভিত্তিতেতে শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি হয়। অশ্বিনীর আবেদন ছিল প্রতারণামূলক ধর্মান্তর রুখতে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে কড়া নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট। তাঁর অভিযোগ, ভীতি প্রদর্শন, হুমকি, প্রতারণা করতে উপহার দেওয়া এবং আর্থিক সুবিধার মাধ্যমে প্রলুব্ধ করার মতো নানা উপায়ে ধর্মান্তর করা হচ্ছে। তাঁর মতে, কোনও নির্দিষ্ট রাজ্য নয়, দেশজুড়েই এই সমস্যা ক্রমে মাথাচাড়া দিচ্ছে। একে অবিলম্বে মোকাবিলা করা দরকার। এমনটা চলতে থাকলে দেশ থেকে হিন্দুদের অস্তিত্ব মুছে যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে ধর্মান্তর বিরোধী আইন চালু করা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে চালু হওয়া ধর্মান্তর বিরোধী আইনে দেশে প্রথম সাজা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় এক হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ উঠেছিল ওই যুবকের বিরুদ্ধে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ধর্মান্তর বিরোধী আইন পাশ করা হয় উত্তরপ্রদেশে। মূলত লাভ জিহাদ রুখতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল। এই আইনে দোষীদের জন্য সর্বোচ্চ দশ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে আইনে। তবে যদি কেউ বিয়ে করে ধর্মান্তর করাতে চেষ্টা করে, শুধুমাত্র সেই ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।